রাজধানীর গুলশানে বহুতল ভবনে আগুন
এবার রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে এ ডব্লিউ আর টাওয়ারের ১০ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ আগুন লাগে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এসি বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এর আগে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগে। শুক্রবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালেদ।
তিনি জানান, শনিবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের মাত্রা বেশি হওয়ায় এরপর আরও আটটি ইউনিট পাঠানো হয়। পানির স্বল্পতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ভবনের সামনে ও পেছনে লাগোয়া অনেকগুলো ভবন থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ারও একটা শঙ্কা ছিল। সর্বশেষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৬টায়। আগুনের পাশাপাশি প্রচণ্ড ধোয়ার কারণে প্রথমে ভেতরে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের।
তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের কারণ জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গেছেন। তারা পরিদর্শন করবেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এরপরে জানা যাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটির দোতলায় ছিল ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের শাখা। তিনতলায় ছিল পোশাকের ব্র্যান্ড ইলিয়েন। নিচের তলায় স্যামসাংয়ের শোরুমসহ ছিল আরও বেশ কিছু দোকান।
স্যামসাংয়ের শোরুমের পাশেই ছিল একটি কফি শপ। এরকম কফির দোকানসহ ফাস্টফুডের অনেকগুলো দোকান ও রেস্তোরাঁ ছিল ভবনটির নিচ থেকে উপর পর্যন্ত। ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থাও ছিল না ভবনটিতে। ফলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর। শেষ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া ৪৫ জন ও পুলিশ হাসপাতালের একজনসহ মোট ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং আট জন শিশু। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হন অন্তত ২২ জন।
মন্তব্য করুন