• ঢাকা শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১
logo

কোটা আন্দোলনের প্রভাবে ঢাকা ফাঁকা

আরটিভি নিউজ

  ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৬:৫৭
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলছে তীব্র আন্দোলন। রোববার (৭ জুলাই) ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। এতে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য রাজধানী প্রায় অচল হয়ে পড়ে। থমকে ছিল হাজার হাজার যানবাহন। তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন নগরবাসী।

সোমবার (৮ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলকারীদের। বেলা সাড়ে ৩টা থেকে শিক্ষার্থীদের নামার কথা। গতকালের ভোগান্তি ও যানজটের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে রাজধানী ফাঁকা। ভোগান্তি এড়াতে বেশিরভাগ মানুষ রাস্তায় বের হয়নি। সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। তুলনামূলক গণপরিবহনও নেই।

রাজধানীর শাহবাগ, বাংলা মটর, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, মহাখালী, কলাবাগান, মিরপুর রোড, মিরপুর, আগারগাঁও ও মগবাজারসহ আরও কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা যায়, ছুটির দিনের মতো আজ শহরের প্রতিটি রাস্তা ফাঁকা। অল্পকিছু যানবাহন রয়েছে সড়কে।

কয়েকজন গাড়িচালক এবং পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের। অনেকের বাসায় যেতে প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লেগেছে। এ কারণে খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। আবার যারা বের হয়েছেন, তারা ব্যক্তিগত গাড়ি বাসায় রেখে রিকশায় চলাচল করছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) সব ধরনের কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে সেই পরিপত্রের ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে’র অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন এই আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে নাকি বাতিল হবে সে ব্যাপারে আপিল বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

পরে গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেন। এর প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক আইজিপি শহীদুল
শুরু হচ্ছে হতাহতদের তথ্য সংগ্রহ
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি কারাগারে
সাবেক মন্ত্রী শাজাহান ৭ দিনের রিমান্ডে