• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo

হঠাৎ করে মেট্রোরেলে যাত্রী বেড়েছে ২০ শতাংশ

আরটিভি নিউজ

  ১০ জুলাই ২০২৪, ২৩:২৯
মেট্রোরেল
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে গত কয়েক দিন মেট্রো রেলে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ পড়েছে। যাত্রীর চাপ সামলাতে কয়েকটি স্টেশনের গেইট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে।

গেইট বন্ধের এ ঘটনা ঘটেছে বুধবার (১০ জুলাই) সারাদিন।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানান, সাধারণত প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ যাত্রী পরিবহন করি মেট্রোরেল। কিন্তু গত কয়েক দিনে প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার বেশি যাত্রী মেট্রোতে চলাচল করেছে।

সবচেয়ে বেশি যাত্রী উঠা-নামা করেছে মতিঝিল, সচিবালয়, কারওয়ান বাজার ও উত্তরা উত্তর স্টেশনে।

তিনি বলেন, প্রথম তলায় নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা আছে। বেশি হয়ে গেলে সাময়িকভাবে ওই স্টেশনগুলো আমাদের বন্ধ রাখতে হয়। যখন যাত্রীরা প্রথম তলা থেকে কাজ শেষ করে প্ল্যাটফর্মে চলে যায় তখন প্রথম তলা কিছুটা ফাঁকা হয়। সেই সময় আমরা গেট খুলে দিয়ে যাত্রীদের প্রবেশের ব্যবস্থা করে থাকি।

যাত্রীরা জানান, এই অতিরিক্ত যাত্রী চাপ বেড়েছে কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্রদের সড়ক অবরোধের কারণে। অন্যান্য দিনের তুলনায় অবরোধের দিনগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা অনেকে বেড়ে যায়।

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।

সব মিলিয়ে তখন নারীদের জন্য বরাদ্দ ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরিদের জন্য বরাদ্দ ৩০ শতাংশ এবং জেলাভিত্তিক ১০ শতাংশ, উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ ১ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয় ওই পরিপত্রে।

পরবর্তীতে পরিপত্রের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ৪ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত। কিন্তু ওইদিন রিটের পক্ষের আইনজীবী না থাকায় তার পক্ষে সময় চাইলে সর্বোচ্চ আদালত শুনানি ‘নট টুডে’র আদেশ দেন।

পরবর্তীতে শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী রোববার ও সোমবার টানা দুদিন বিকেলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ এলাকা থেকে এ কর্মসূচি পালন করেন। মাঝে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) গণসংযোগ কর্মসূচি পালনের পর বুধবার (১০ জুলাই) আবারও সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচি দেন আন্দোলনকারীরা।

একইদিন কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি হয়। শুনানির পর হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। চার সপ্তাহ পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত দুই স্টেশন সংস্কারে লাগছে ১৩৮ কোটি টাকা
শিগগিরই মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন চালু হবে: ডিএমটিসিএল
শুক্রবার মেট্রোরেল চলাচল নিয়ে সবশেষ যা জানা গেল
মেট্রোরেলের বন্ধ থাকা দুই স্টেশন চালু নিয়ে সুখবর