• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo

নতুনবাজারে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

আরটিভি নিউজ

  ১৫ জুলাই ২০২৪, ১৩:৫৯
নতুন বাজারে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবোরধ, যানচলাচল বন্ধ
সংগৃহীত ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর নতুনবাজারে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে নতুন বাজার সিগন্যালের সামনে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এ সময় তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। অবরোধের কারণে সড়কে শতশত যানবাহন আটকে আছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নতুনবাজার এলাকায় ব্যাপক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা বলেন, শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে সরকারি চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝাচ্ছি তারা যেন রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন।

টানা কয়েক দিন আন্দোলনের পর গত ৯ জুলাই কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। পরেরদিন হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ।

এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে। তবে শিক্ষার্থীরা আপিল বিভাগের এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে সংসদে আইন পাস না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৩ দাবি নিয়ে সচিবালয়ে জবি শিক্ষার্থীরা, সড়ক অবরোধ
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
বস্তিবাসীর সড়ক অবরোধ, মিরপুরে যান চলাচল বন্ধ
সরকারি চাকরিজীবীদের কোন গ্রেডে কত বেতন বাড়ছে