এতিম শিশু কাউছারের প্রশ্ন
‘তখন তো আন্দোলন হচ্ছিল না, তাহলে আমারে গুলি করল ক্যান’
‘তখন তো আন্দোলন হচ্ছিল না, আমারে ক্যান তাহলে গুলি করল?’ শরীরের যন্ত্রণা নিয়ে বারবার এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ১০ বছর বয়সী শিশু কাউছার।
পিতা-মাতাহীন শিশুটি তার ফুফুর সঙ্গে বসবাস করে উত্তরা আবদুল্লাহপুর এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে। গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুরুতরভাবে আহত হয় সে। বুলেট তার শরীর এফোঁড়ওফোঁড় করে বেরিয়ে যায়। বর্তমানে কাউছার শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কাউছার বলে, তখন কোনো আন্দোলন হচ্ছিল না, তাই আমি আর কয়েকজন বন্ধু মিলে বাসার গলিতে খেলছিলাম। হঠাৎ পুলিশ এসে গুলি করে। তারপর আর কিছু মনে নাই।
স্বজনরা জানান, তারপরই তাকে নিয়ে আসা হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। সার্জারি শেষে আপাতত ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে আছে কাউছার।
কাউছারের ফুফু বলেন, কাউছার আমাদের সঙ্গে থাকে। সেদিন গণ্ডগোলের পর কয়েকজন বন্ধুসহ ও বাসার বাইরে যায়। আমরা তো ভাবিনি যে গলিতে এসে পুলিশ গুলি করবে। বাচ্চাগুলার ওপর পুলিশ কী ভেবে গুলি করল, এর কোনো জবাব নেই।
কাউছারের পাশের বেডেই শুয়ে ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত শিক্ষার্থী রাজিব (ছদ্মনাম)। মিরপুর বাংলা স্কুলের এ শিক্ষার্থীর দুই পায়ে গুলি লেগেছে। আঘাত এতটাই গুরুতর যে পা সেরে উঠতে অন্তত ১ বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
মন্তব্য করুন