ঢাকায় আমাদের হাতে কেউ আটক নেই: ডিজিএফআই
গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে ডিরেকটরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইনটেলিজেন্স (ডিজিএফআই) জানিয়েছে, তাদের হাতে এখন আর কেউ আটক নেই।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে শিরিন হকের নেতৃত্বে মানবাধিকারকর্মীদের প্রতিনিধি দল ঢাকা সেনানিবাসে ডিজিএফআই সদরদপ্তরে গেলে এসব কথা বলে সংস্থাটি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ‘অধিকার’ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, ‘মায়ের ডাক’র সহপ্রতিষ্ঠাতা সানজিদা ইসলাম তুলি ও শিক্ষাবিদ সিআর আবরার।
তবে বৈঠকে ডিজিএফআই জানিয়েছে তারা যৌথ কমিশন গঠন করে খতিয়ে দেখবেন দেশের অন্যান্য জায়গায় সেনাদের হাতে কেউ গুম হয়ে আছেন কি না।
শিরিন হক বলেন, ডিজিএফআই এর হাতে যে কেউ আটক নাই তা আমাদেরকে খতিয়ে দেখার আমন্ত্রণও জানিয়েছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনে এখন সেনাপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করবো।
এ বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবাররা অসন্তুষ্ট হয়ে ডিজিএফআইয়ের সদরদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করে।
গতকাল ডিজিএফআই জানিয়ে ছিল, গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের ‘আয়নাঘরে’ রাখা হয়েছিল তাদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আজ বুধবার জানানো হবে।
এর আগে ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্ত হয়েছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)।
আট বছর পর মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোরে তারা নিজ বাসায় ফেরেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে আবদুল্লাহিল আমান আযমী ও আহমাদ বিন কাসেমের মুক্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে।
আবদুল্লাহিল আমান আযমী জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আযমের ছেলে। আর আহমাদ বিন কাসেম একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর ছেলে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট আহমদ বিন কাসেমকে (আরমান) মিরপুর ডিওএইচএস থেকে এবং এর কয়েক দিন পর ২৩ আগস্ট আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে গুম করা হয় বলে তাদের পরিবারের অভিযোগ।
মন্তব্য করুন