ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক দপ্তরিক আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী) আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সিটির প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন- তার অযোগ্যতা, অদক্ষতা, দুর্নীতি, দুর্ব্যবহার, নিপীড়ন এবং অবাস্তব ও জটিল সিদ্ধান্তে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এ জাতীয় আচরণ, অদূরদর্শী ও নেতিবাচক কার্যক্রমে কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ও তারা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাকে চাকরি থেকে অপসারণের দাবি উত্থাপন করেছেন। অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অফিসে তার উপস্থিতি বা অবস্থান কিংবা চাকরিতে থাকলে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। কর্ম পরিবেশ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সুষ্ঠুভাবে ও গতিশীলতা বজায় রাখতে হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহের বিষয়ে তদন্তপূর্বক জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাখিলকৃত আবেদনে উল্লেখ করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, আশিকুর রহমান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ৪৯ (ক) (খ) (গ) ও (ঘ) মতে যথাক্রমে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা ও দুর্নীতির অভিযোগে গুরুদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন মর্মে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। সেহেতু, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ৪৯ এর (ক), (খ), (গ), (ঘ) ও (৬) মোতাবেক দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করত- তাকে একই বিধিমালা ৫৫ (১) অনুসরনে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সরকারি বিধি ও আদেশানুযায়ী খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের প্রস্তাব কার্যকর করা হলে তিনি গ্রাচুইটিসহ অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হবেন। কিন্তু সাময়িক বরখাস্ত করার পর তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। তদন্তে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড তথা চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ, অপসারণ, পদাবনতি, বেতনবৃদ্ধি স্থগিতকরণ ও পদোন্নতি স্থগিতকরণ করা হতে পারে। আর বরখাস্তকরণ করা হলে সে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবে না। আর তদন্তে যদি অভিযোগ প্রমাণিত না হয় তাহলে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তার অবসর গ্রহণের প্রস্তাব কার্যকর করা হবে। তখন সুযোগ-সুবিধা পেলেও স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের প্রস্তাবের সূত্র ধরে চাকুরী থাকবে না। এজন্যই করপোরেশন এ পথে হাঁটছে।
মন্তব্য করুন