• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo

ঠিকাদারের অস্থায়ী কর্মীদের প্রশিক্ষণ বন্ধের দাবি পবিসের

আরটিভি নিউজ

  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:০০
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
সংগৃহীত

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদারের অস্থায়ী জনবলকে সিস্টেম পরিচালনা ও উপকেন্দ্র নির্মাণসংক্রান্ত প্রশিক্ষণের আয়োজনকে অপরিণামদর্শী ও দুরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেমের সংস্কারসহ অন্যান্য সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের জন্য নয় সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হলেও এতে সহযোগিতা না করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড টালবাহানা করছে বলেও অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ সেপ্টেম্বর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একটি অফিস আদেশ জারি করে। এতে বলা হয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার/উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের জনবলকে উপকেন্দ্র নির্মাণকাজের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উপকেন্দ্রের পরিচিত করণ বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে, যা অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, ঠিকাদারের জনবল সাধারণত লাইন নির্মাণসংক্রান্ত কাজ করে থাকেন। উপকেন্দ্র নির্মাণের সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।‌ উপকেন্দ্র নির্মাণকাজের ঠিকাদার আলাদা এবং অভিজ্ঞ জনবল। সমিতিতে বর্তমানে চুক্তিবদ্ধ কোনো উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান নেই‌।

এমনকি বিগত ৪৭ বছরেও উপকেন্দ্রে এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করার কোনো নজির নেই। এছাড়াও ঠিকাদারের শ্রমিকরা যেমন সমিতির নিয়মিত বা চুক্তিভিত্তিক জনবল নয়, তেমনি ঠিকাদাররাও নিয়মিত বা চুক্তিভিত্তিক জনবল নয়। ঠিকাদাররা যখন যাকে পান তাকে দিয়েই কাজ করান। এমনকি এই জনবলের সঙ্গে কাজের বিষয়ে আরইবি বা পবিসের কোনো চুক্তি বা অনুমতিপত্র নেই। ফলে সিস্টেমের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

এভাবে বিচ্ছিন্ন জনবলকে সরকারের কেপিআইভুক্ত স্পর্শকাতর একটা সিস্টেম পরিচালনা করার প্রশিক্ষণ দিলে যে কোনো মুহূর্তে বিদ্যুৎ খাতে অস্থিতিশীলতা ও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া ঠিকাদারের জনবলকে সাবস্টেশন অপারেশনের প্রশিক্ষণ দিলে ভবিষ্যতে যদি কোনো বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্রেক ঘটে তখন তারা সাবস্টেশনে প্রবেশ করে বিদ্যুৎব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটানোর আশঙ্কা অমূলক নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে কর্মকর্তা কর্মচারীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, সারাদেশে বর্তমানে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। মাঠপর্যায়ে সরাসরি গ্রাহক সেবায় নিয়োজিত নয় বিধায় বিআরইবি লোড বরাদ্দের বিষয়ে উদাসীন। তদুপরি এই সংকটকালীন সাবস্টেশনে প্রশিক্ষণ আয়োজন করে কৃত্রিমভাবে ফোর্সশেড করলে গ্রাহক অসন্তোষ তীব্র আকার ধারণ করবে এবং যে কোনো মুহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

এ অবস্থায় আরইবি কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে জনস্বার্থবিরোধী দপ্তরাদেশ চাপিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস বলেই প্রতীয়মান হয়। গ্রাহক সেবার স্বার্থে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল অফিস এবং উপকেন্দ্রসমূহে বিশেষ নিরাপত্তার জন্য সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তারা। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্ম পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হওয়াসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং গ্রাহক সেবায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে তার দায় দায়িত্ব আরইবির ওপর বর্তাবে বলেও হুঁশিয়ারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এমতাবস্থায় দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় বিদ্যমান সকল বৈষম্য অতিদ্রুত নিরসনের মাধ্যমে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে অতিদ্রুত বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক গঠিত রিফর্ম কমিটির সুপারিশমালা প্রস্তুত এবং বাপবিবো কর্তৃক সকল চুক্তিভিত্তিক এবং অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করণের মাধ্যমে ২ দফা দাবি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ অতীব জরুরি বলে মনে করছি।

অন্যথায় পরিস্থিতির শিকার হয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে পূর্বাপেক্ষা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন পবিস কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

আরটিভি/এএইচ/এআর

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চাকরি দেবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, আবেদন ফি ১০০ টাকা
জনবল নিয়োগ দেবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, আবেদন ফি ১০০ টাকা
লোকবল নেবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, আবেদন ফি ১০০ টাকা
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গণছুটি কর্মসূচি প্রত্যাহার