পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ

পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের ওপর হামলা, লুটপাট ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঢাকায় অবস্থানরত পাহাড়ি ছাত্র-জনতা।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই প্রতিবাদ সভা করেন তারা।

কেউ নয় আদিবাসী, আমরা সবাই বাংলাদেশি স্লোগান তুলে বক্তারা বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের এখনই দমন করতে হবে। তারা পাহাড় দখল করতে চায়, চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়, পাহাড়কে তারা জুম্মল্যান্ড বানাতে চায়। এখনই দমন করা নাহলে সাজেক, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান যেতে ভিসা পাসপোর্ট লাগবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্মল্যান্ড বানানোর ষড়যন্ত্র প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বক্তারা বলেন, যেকোনো সংঘাত হলেই সেটাকে ধামাচাপা দিতে নতুন ইস্যু তৈরি করে সন্ত্রাসীরা। তারা চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের আস্তানা বানাচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে চাঁদাবাজির কেন্দ্র বানাচ্ছে বলে অভিযোগ করে বক্তারা আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা প্রতিবছর প্রায় ৪ শত কোটি টাকা চাঁদা তুলছে এ পাহাড় থেকে। সর্বশেষ কিছুদিন আগেও এক ব্যবসায়ীর কাছে ২ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছে তারা। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ফলে পাহাড়ের সাধারণ বাঙালিরা দাস হিসেবে বসবাস করছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, সেভেন সিস্টার্সের পাশাপাশি চট্টগ্রামকে তারা অষ্টম সিস্টার্স হিসেবে বানানোর পরিকল্পনা করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল বাঙালিরা সব জায়গায় নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আমাদের তারা সেটেলার বলে প্রচার চায়। আমরাও তো বলতে পারি আপনারা মঙোলয়েড সেটেলার। পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করার, ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার এসব ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেব। আমরা সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।

সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল নিয়ে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

এসময় সম্মেলিত স্লোগান তুলে- ‘উপজাতি কোটা বাতিল করো,’ ‘উপজাতিদের আদিবাসী প্রচারণাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ঘোষণা দিতে হবে’, ‘আমার পাহাড়ে চোখ দিও না, তোমার মুরগির গলা চেপে ধরব’, ‘সমতল ও পাহাড়, এই আইনে চলতে হবে।

আরটিভি/এএইচ-টি