রাজধানীর কদমতলী থেকে ৭৩ বছরের বৃদ্ধা নিখোঁজ
রাজধানীর কদমতলী থানার তুষারধারা থেকে মাজেদা বেগম (৭৩) নামে বৃদ্ধা হারিয়ে গেছেন।
২১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকেল ৫টায় তিনি নিখোঁজ হন।
মাজেদা বেগম একজন মানসিক রোগী। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার উলুকান্দিতে।
হারিয়ে যাওয়ার সময় তার পরনে প্লাজো ও গেঞ্জি ছিল। তার গায়ের রং শ্যামলা, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।
মাজেদা বেগমের নাতি জোবায়ের মিলন জানান, কদমতলী থানার তুষারধারা আবাসিক এলাকার সাদ্দাম মার্কেট (সাইনবোর্ড) হতে হারিয়ে যান। বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে রাজধানীর কদমতলি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধার খোঁজ পেলে ০১৭৮৩৫২২২৫২ (ছেলে সোহাগ), ০১৯১৪০২৩১৭৭ (নাতি জোবায়ের মিলন) এই নম্বরে যোগাযোগ করুন।
মন্তব্য করুন
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে একদিনে পৌনে ১ কোটি টাকা জরিমানা
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের কঠোরতা শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। এতে সুযোগ পেয়ে রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে দেয় উশৃঙ্খল গাড়িচালকরা। অবৈধ রিকশা আর ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে শুরু করে প্রধান সড়কে। যে যেভাবে পারছে নিয়ম ভাঙছে। এতে যানজটে নাকাল হয়ে পড়ে রাজধানীবাসী।
এ অবস্থার লাগাম টেনে ধরেছে ডিএমপি। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে একদিনেই ১ হাজার ৯২৯টি মামলা ও ৭৫ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ট্রাফিক বিভাগ। এ ছাড়া অভিযানকালে ১২৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৬২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে এক বার্তায় এই তথ্য জানান ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, গত শনিবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে এসব জরিমানা ও মামলা করা হয়।
এর আগে, ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, মেগাসিটি ঢাকার প্রায় ২ কোটি মানুষের জন্য ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রয়েছে ৪ হাজারের মতো। রাজধানীর ৩৩৯টি পয়েন্টে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি সদস্য। ট্রাফিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখতে সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে সড়কে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অবৈধ ও আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরটিভি/এএইচ-টি
সাত ছাত্রের ওপর উঠিয়ে দেওয়া হলো প্রাইভেটকার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনের রাস্তায় ৭ শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়েছে একটি প্রাইভেটকার। এতে ৩ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে এ দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনের রাস্তা দিয়ে কিছু শিক্ষার্থী হেঁটে যাচ্ছিলেন। হটাৎ পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার এসে তাদের চাপা দেয়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই গাড়ির নিচে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা আহত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন
এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানাতে পেরেছেন। ভিডিওটিও দেখেছি। এ ঘটনায় তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন মাথায় আঘাত পেয়েছে, অন্য দুই জনের পা ভেঙে গেছে। বিষয়টি আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা প্রাইভেটকারটি আটক করেছি। প্রাইভেটকারটি মালিক মোস্তাফিজুর রহমান এটি চালাচ্ছিলেন। আমরা তাকে আটক করেছি। সামনের চাকা ফেটে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে চালক।’
আরটিভি/এসএপি
ক্লাসরুমে লাঠি হাতে রহস্যজনক যুবক ভাইরাল, যা জানা গেল
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের লেকচার রুমে হাতে লাঠি ও মাথায় কালো কাপড় পরা এক ব্যক্তি ঢুকে পড়েন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে ওই ব্যক্তি লাঠি হাতে নিয়ে ক্লাসরুমে ঘুরছিলেন। তাকে দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
এরই মধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি ক্লাস রুমে ঢুকে লাঠি উঠিয়ে চিৎকার করে কী যেন বলছেন। তার ভয়ে ছাত্রীরা ভয়ে চিৎকার করে ক্লাসরুম থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে দেখা যায়। তবে তাকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মাজহারুল ইসলাম জানান, রোববার সকালে লেকচার থিয়েটারের দোতলায় ওই যুবক হাতে লাঠি নিয়ে ঢুকেছিল। তাকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে মনে হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবকে তারা জানিয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছানোর আগেই ওই যুবক কলেজে থেকে চলে যায়। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তাই সোমবার পুলিশ কলেজে এসে ঘটনা বিশদভাবে তদন্ত করবে।
তিনি আরও জানান, অতীতে কখনও তার এমন ঘটনার সম্মুখীন হননি। আর ওই যুবক ক্লাসরুমে অস্পষ্টভাবে কী বলছিল তা বোঝা যায়নি।
ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ পাঠানো হলেও তাকে ধরা যায়নি বলে জানান কোতয়ালী থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
আরটিভি/এসএপি-টি
কর্মসূচি দিয়ে সায়েন্সল্যাব ছাড়লেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠনের দাবিতে আগামীকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টায় এ ঘোষণা দিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড় ছাড়েন তারা।
সন্ধ্যায় সাইন্সল্যাবে ব্লকেড কর্মসূচি শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন সাত কলেজ আন্দোলনের ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে নিয়ে আলাদাভাবে স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন করা না হলে আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সায়েন্সল্যাব মোড় আবারও অবরোধ করা হবে। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন আমাদের দাবি দ্রুত মেনে নেয়। যদি সরকার আমাদের দাবি না মেনে নেয় আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে আমাদের বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। যদি বৈঠক হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি আমাদের ডাকে, আমরা ৭ থেকে ১৪ জন প্রতিনিধি সেখানে যাব। অপরদিকে অবরোধ থাকবে। দাবি মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, সাত কলেজকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন না করলে আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত সায়েন্সল্যাবে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হবে। গত শনিবার শিক্ষার্থীরা তিন দিনের মধ্যে ‘বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমা সোমবার পার হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার তারা সড়কে নামেন।
এর আগে, সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে প্রায় ৫ ঘণ্টা রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এতে সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেতসহ মিরপুর সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ যায়। এর ফলে রাজধানীজুড়েই দেখা দেয় তীব্র যানজট।
বারবার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে। দাবি আদায়ের নামে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে।
আরটিভি/এফএ/এসএ
যে কারণে শিক্ষার্থীদের চাপা দিয়েছিল প্রাইভেটকার
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনের রাস্তায় সাতজন শিক্ষার্থীকে চাপা দেয় একটি প্রাইভেটকার। এতে ৩ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনের রাস্তা দিয়ে কিছু শিক্ষার্থী হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার এসে তাদের চাপা দেয়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই গাড়ির নিচে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা আহত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে সবাই গাড়ির চালককেই দোষারোপ করেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে দুর্ঘটনার আগেই চলন্ত প্রাইভেটকারটির একটি চাকা ফেটে যায়। যে কারণে চেষ্টা করেও গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি চালক মোস্তাফিজুর রহমান (৪৮)।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাইভেটকার চাপায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। প্রথমে চালক মোস্তাফিজুর রহমান পালিয়ে গেলেও পরে তাকে আটক করেছি। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। এ ছাড়া প্রাইভেটকারটিও জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গাড়িটির চালক রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করেন। তিনি নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, ঘটনার আগে চলন্ত অবস্থায় প্রাইভেটকারটির একটি চাকা ফেটে যায়। এতে তিনি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। একপর্যায়ে পেছন থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়।
তিনি আরও জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েও গাড়িটির একটি চাকা ফাটা অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণও খুঁজে পাইনি। চালককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। চালক মোস্তাফিজুর বর্তমানে কারাগারে আছেন।
আরটিভি/এফএ/এসএ
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় জাতীয় পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পেটান এবং ধাওয়া দেন পার্টির নেতাকর্মীরা।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে শিক্ষার্থীরা ওই এলাকায় জড়ো হলে সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন রশিদ বলেন, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে নিয়ে মিছিল শুরু করি। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। তবে মিছিলটি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সামনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপর্যুপরি আক্রমণ করা হয়। আমাদের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে হাসান আল মামুন বলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের আগে থেকেই অবস্থান ছিল। মিছিলটি আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এক হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
অন্যদিকে আগুন নেভাতে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এলে ছাত্রদের বাধার মুখে পড়ে। কয়েক মিনিট পরে পুলিশের সহায়তায় আগুন নেভান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।
এরপর সার্জিস আলমও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জাতীয় পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করার কথা জানান। তিনি পোস্টে লেখেন, জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের আঘাত করেছে,অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগরে যাচ্ছি। জাতীয় বেইমানদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
প্রথমে বিজয় নগর অভিমুখে রওনা দেওয়ার কথা সাড়ে ৭টায় বললেও পরে তারা জানায় সাড়ে ৮টায় রওনা হবেন।
আরটিভি/এআর
মেট্রোরেলের এমআরটি পাস রেজিস্ট্রেশন বন্ধ ঘোষণা
যানজটের রাজধানীতে দ্রুত ও নিরাপদ যাতায়াতের গণপরিবহন হিসেবে জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে মেট্রোরেলের। কিন্তু ভ্রমণকারীদের জন্য দুঃসংবাদ, মেট্রোরেলে ভ্রমণের নিজস্ব কার্ড ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাসের নতুন রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। একইসঙ্গে নষ্ট হয়ে যাওয়া কার্ডগুলো নবায়নও বন্ধ রাখার ঘোষণা এসেছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কার্ড রেজিস্ট্রেশন এবং পুনরায় ইস্যু করার সুবিধা বন্ধ থাকবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
বর্তমানে মেট্রোরেল শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সপ্তাহের ৬ দিন সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করছে। আর শুধুমাত্র শুক্রবার চলাচল করছে দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত।
আরটিভি/এসএইচএম