স্বপ্ন ছিল মাহি ডাক্তার হবে, কিন্তু...
আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল মাহি ডাক্তার হবে। ওর বাবা সৌদি থেকে কাজ করে অনেক কষ্ট করে টাকা-পয়সা পাঠান। ছেলে চিকিৎসক হলে আমাদের আর দুঃখ থাকবে না, এটাই ছিল আমাদের আশা। কিন্তু কী হইতে কী হইয়া গেল, বাবারে আমি তো কিছুই জানতে পারলাম না।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাহির মা ফাতেমা আক্তার।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে যাত্রাবাড়ীর মীর হাজিরবাগের একটি ১০তলা ভবনের আট তলা থেকে মাহিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
ছেলের এমন অকস্মাৎ মৃত্যুতে পাগলপ্রায় অবস্থা মা ফাতেমা আক্তারের। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমাদের কাউকে কিছু না বলে নিজ রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখে মাহি। অনেক সময় পেরিয়ে গেলে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় রুমের দরজা ভেঙে দেখি, বারান্দার কাপড় শুকানোর রশি গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে আমার মাহি। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানায়, আমার মাহি আর বেঁচে নেই।
তিনি আরও বলেন, আমি এখন ওর বাবারে কি জবাব দিমু। কেনই বা মাহি এই কাজটি করল আমরা কিছুই জানি না। আমাদের কারও সঙ্গে তো ওর কোনো ঝগড়াও হয়নি।
এ বিষেয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।
প্রসঙ্গত, নিহত মো. মাহি (২৩) বারডেম হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নুনাবতি গ্রামের সৌদি প্রবাসী মিজানুর রশিদের ছেলে। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।
আরটিভি/আইএম
মন্তব্য করুন