• ঢাকা বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১
logo

উত্তরায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর বাড়ি দখলের অভিযোগ

আরটিভি নিউজ

  ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫৫
প্রবাসী
সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শেখ নুরুর রহমানের বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মো. সোহেল রেজা ওরফে ইদন নামের এক সন্ত্রাসী ২০২২ সালে দলবল নিয়ে জোর করে ওই প্রবাসীর বাড়িটি দখল নিয়ে প্রতি মাসে ৮৫ হাজার টাকা ভাড়া তুলে নিচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় একাধিকবার অভিযোগ করে কোনো সুরাহা পাননি নুরুর রহমান। সোহেল রেজা আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় পুরো প্রশাসন ছিল তার পক্ষে। ফলে আদালতে মামলা করে নিজের পক্ষে রায় পেলেও বাড়ির দখল পেতে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা পাননি ভুক্তভোগী।

নুরুর রহমানের অভিযোগ, সোহেল রেজা তার বোন জামাই এএসপি বাহাউদ্দিন ভূইয়ার মদদে বাড়িটি দখল নিয়েছেন। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বছরের পর বছর অবৈধ ভাবে ভাড়া তুলে নেয় সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় শেখ নুরুর রহমানের স্বজনদের হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শেখ নুরুর রহমান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন তিনি।

শেখ নুরুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আমি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছি। গত দুই বছর ধরে দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা হজ ক্যাম্প রোড সংলগ্ন আমার বাড়িটি দখল করে নিয়েছে সন্ত্রাসী সোহেল রেজা। বাড়িটির আমার বোনের অংশ সন্ত্রাসী সোহেলের কাছে বিক্রি করে। বাড়ির অপর অংশে থাকা আমার ভাই সবুজকে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পুরো বাড়িই দখল নিয়েছে সোহেল। আর এতে প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছে এএসপি বাহাউদ্দিন ভূইয়া। ফলে বিচার চেয়েও পাওয়া যায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ নুরুর রহমান কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি নিরুপায় হয়ে আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি ফিরে পেতে আপনাদের সহায়তা চাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ নুরুর রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানজিল আহমেদ সানি বলেন, নুরুর রহমান দেশের বাইরে থাকায় তার মালিকানাধীন বাড়িতে তার ছোট ভাই এহছানুর রহমান সবুজ থাকতেন। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর সোহেল রেজা তার লোকজন নিয়ে বাড়ির নিচ তলায় থাকা জমজম হোটেলের মালিককে মারধর করে এবং তাদের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাট থেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বের করে দেয়।

এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ থানার জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করা হয়। এতে সোহেল রেজা ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি এহছানুর রহমান সবুজকে অপহরণ করে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এবং একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর ২০২৩ সালের ১৯ মে থানায় জিডি করেন সবুজ। এই সোহেল রেজার হাত আইনের থেকে এতই লম্বা হয়ে গেছে যে, এতবার আইনের আশ্রয় নিয়েও কোন সুরাহা করা যায়নি। তাই ২০২২ সাল থেকে বহুবার আইনের আশ্রয় নিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। তার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সোহেল রেজা এর বোনের জামাই এএসপি বাহাউদ্দিন ভূইয়া।

আরটিভি/এএইচ/এআর

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া, ১২ দিনে এলো প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসীর মৃত্যু
স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা মুয়াজ্জিন, খবর শুনে অসুস্থ প্রবাসী স্বামী
প্রবাসীদের জন্য লাউঞ্জ হচ্ছে শাহজালালে, স্বল্পমূল্যে মিলবে খাবার