ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৮০২ মামলা, জরিমানা ৭২ লাখ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৮০২টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এ সংক্রান্তে ৭২ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য জানান ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান চালিয়ে এসব মামলা ও জরিমানা করে। অভিযানকালে ৭৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ২৪টি গাড়ি রেকার করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরটিভি/একে/এসএ
মন্তব্য করুন
বিয়ে খেতে ঢাকায় এসেছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, অতঃপর...
ঢাকায় আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের হাতে আটক হয়েছেন নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নোয়াখালী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ওয়াটারফল রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের দাবি, আদনান জুলাই মাসে আন্দোলনে হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মোবাইল ফোন থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার আলামত এবং গুজব ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আন্দোলনের সময় গুলির ঘটনারও সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আটকের খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং আদনানকে তাদের হেফাজতে নেন। তবে এ বিষয়ে ডিবি বা পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে আদনানের পরিবারের এক সদস্য দাবি করেছেন, আবুল হাসনাত আদনান কোমরের ব্যথা-জনিত সমস্যায় ভুগছেন এবং জুলাই মাসে ঢাকায় অবস্থান করলেও কোনো হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে নোয়াখালীতেও কোনো অভিযোগ নেই।
আরটিভি/এসএপি
কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায়ও নেভেনি সচিবালয়ের আগুন
দুই ঘণ্টার চেষ্টায়ও নেভেনি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮ ইউনিট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অগ্নিকাণ্ডের শুরুতে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। তবে তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৮ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেগুনবাগিচা-পুরানা পল্টনের সচিবালয় এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। আশেপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিতি হয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের আগুন নেভাতে সহায়তা করছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার পর উদ্ধার সহায়তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, কাভার্ডভ্যান চাপায় ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে কাভার্ডভ্যান চালককে আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য বিকল্প পানির ব্যবস্থা করছিলেন। এ সময় তিনি পাইপ কাঁধে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যান পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। মাথায় পরা হেলমেটটি সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় এবং রাস্তায় রক্তের দাগ দেখা যায়। পরে গণপূর্ত ভবনের সামনে দিয়ে ওই কাভার্ডভ্যানচালক দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাচ্ছিল। শিক্ষার্থীরা সামনে গিয়ে ব্যারিকেড দিলে চালক কাভার্ডভ্যান থামান। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উত্তেজিত মানুষজন চালককে মারতে উদ্যত হন, কিন্তু সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত কর্মীর বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ফায়ার সার্ভিস সদস্যকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ১টা ৫২ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আমাদের ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী- আগুনের আকার বড় বলে মনে হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরটিভি/কেএইচ
সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পাঁচ ঘণ্টায়ও নেভেনি আগুন
দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায়ও নেভেনি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ভয়াবহ আগুন। ইতোমধ্যে ওই ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টমসহ বেশ কয়েকটি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে কাভার্ডভ্যান চাপায় সোহানুর রহমান নয়ন নামে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৯ ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। বাইরে থেকেও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে।
এর আগে মধ্যরাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডের শুরুতে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। তবে তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেগুনবাগিচা-পুরানা পল্টনসহ সচিবালয় এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। আশেপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিতি হয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের আগুন নেভাতে সহায়তা করছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার পর উদ্ধার সহায়তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, কাভার্ডভ্যান চাপায় ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আর আগে আহত হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক-হেলপারকে আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সচিবালয়ের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মী বিকল্প পানির ব্যবস্থা করছিলেন। এ সময় পাইপ কাঁধে নিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে হঠাৎ একটি দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যান পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। তার মাথায় পরা হেলমেটটি সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় এবং রাস্তায় রক্তের দাগ দেখা যায়।
পরে গণপূর্ত ভবনের সামনে দিয়ে ওই কাভার্ডভ্যান চালক দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা সামনে গিয়ে ব্যারিকেড দিলে চালক কাভার্ডভ্যান থামান। সেখান থেকে তাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উত্তেজিত জনতা চালককে মারতে উদ্যত হন, কিন্তু সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এর আগে আহত (পরে নিহত) কর্মীর বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ফায়ার সার্ভিস সদস্যকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ১টা ৫২ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আমাদের ১৯ ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী- আগুনের আকার বড় বলে মনে হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরটিভি/কেএইচ
সচিবালয়ের আগুন / যেভাবে ধরা পড়লেন নিহত ফায়ার ফাইটারকে ধাক্কা দেওয়া ট্রাকচালক
সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ফায়ার ফাইটারকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ট্রাকচালক শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয়েছে। তবে আহত ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সোহানুজ্জামান নয়নকে বাঁচানো যায়নি।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে ঘাতক ট্রাকচালককে গণপূর্ত ভবনের সামনে থেকে আটক করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ফায়ার কর্মীকে চাপা দিয়ে ট্রাকের গতি বাড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল চালক। গণপূর্ত ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড দিলে চালক ট্রাক থামাতে বাধ্য হন। এরপরে তাকে ট্রাক থেকে নামিয়ে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উত্তেজিত মানুষজন চালককে মারতে উদ্যত হলে সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল জানিয়েছেন, ট্রাকচাপায় আহত ফায়ার ফাইটার সোহানুজ্জামান নয়নকে বাঁচানো যায়নি। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৭টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘পানির পাম্প থেকে লাইনের সংযোগ দিতে সড়ক পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সোহানুজ্জামান নয়ন আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। সোহানুজ্জামান তেজগাঁওয়ে স্পেশাল ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়।’
তিনি জানান, আরেক ফায়ার কর্মী পা কেটে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন; তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়।
আরটিভি/এসএপি
সচিবালয়ের ৮ তলায় মিলল কুকুরের দগ্ধ মরদেহ, চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১৯ ইউনিটের চেষ্টায় ১০ ঘণ্টা পর পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নেভার পর ভবনের ৮ তলায় একটি কুকুরের পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৫মিনিটে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। দুপুরের দিকে পুরোপুরি নিভে যায়।
জানা গেছে, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভে গেলে কুকুরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন কোনো সরকারি কর্মকর্তা শখের বসে অফিসে কুকুর পুষেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, কোন কারণে হয়তো কুকুরটি ভবনে ঢুকে পড়েছিল। তবে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
এ বিষয়ে ফায়ার ফাইটার মো. ইমরান শিকদার বলেন, ‘কোনো ভবনে আগুন নির্বাপণ করার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুরো ভবন খুঁজে দেখা হয়। কারণ, সেখানে আহত বা নিহত অবস্থায় কেউ থাকতে পারেন। সেই কাজ করার সময় আমরা কুকুরের পুড়ে যাওয়া দেহটি খুঁজে পাই।’
এদিকে আগুনে ছাই হয়ে যাওয়া ফ্লোরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ছিল। এ সব মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব নথি, কম্পিউটারসহ সবকিছু এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে মধ্যরাতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের শুরুতে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। তবে তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিটের দীর্ঘ প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগে ১০ ঘণ্টা। এরই মধ্যে এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
আরটিভি/এসএপি-টি
জ্বলন্ত ফানুস পড়ে ধানমন্ডি ও মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড
খ্রিষ্টীয় নতুন বছর স্বাগত জানিয়ে উড়ানো জ্বলন্ত ফানুস পড়ে রাজধানীর ধানমন্ডি ও মিরপুরসহ কয়েক এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাত দেড়টার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে রাত ১২টা ৫৩ মিনিটে খবর আসে ল্যাবএইড হাসপালের পাশে স্বপ্ন সুপার শপের পরিত্যক্ত মালামালে ফানুস পড়ে আগুন লেগেছে। ধোঁয়ায় আতঙ্কিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে অবশ্য ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়।
রাফি আল ফারুক আরও বলেন, রাত ১২টা ৩৭ মিনিটে খবর আসে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকায় এক ডাস্টবিনের ময়লায় অগ্নিকাণ্ড হয়। পরে আমাদের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা হলে খবর আসে আগুন নিভে গেছে।
প্রসঙ্গত, পুলিশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এবারও আইন অমান্য করে রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানায় ঢাকাবাসী। আতশবাজির ঝলকে রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকার আকাশ। এর সঙ্গে রয়েছে পটকার শব্দ, তবে এবার সংখ্যায় ফানুস কম। যদিও নিষেধাজ্ঞা ছিল এসব আয়োজনে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞা ভেঙে এবারও নতুন বছরকে উদযাপনে ছিল আতশবাজি-ফানুসের আয়োজন।
আরটিভি/কেএইচ
থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফানুস-পটকা উৎসবে ২ শিশু দগ্ধ
রাজধানীতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ফানুস ও আতশবাজি পোড়ানোর ঘটনায় দুই শিশু দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. শাওন বিন রহমান।
বুধবার (১ জানুয়ারি) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে জানা যায়, ইংরেজি নতুন বছর বরণে পটকা ফোটানোর কারণে দুই শিশু দগ্ধ হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে একজনের নাম ফারহান (৮)। তার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরেক শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের বিস্তারিত ঘটনা জানা যায়নি।
আহত শিশুদের পরিবারের বরাত দিয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, নতুন বছর বরণ করতে রাস্তাঘাটে পটকা ফোটানোর কারণে তারা দগ্ধ হয়েছে।
এর আগে ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে যেকোনো অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত নিষিদ্ধ ছিল। পাশাপাশি, সব বার বন্ধ রাখা এবং হোটেলগুলোর সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজনের শর্ত জারি করা হয়। তবে বাস্তবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পরপরই চারদিক কাঁপিয়ে আতশবাজি ও পটকা ফোটাতে থাকে। এর পাশাপাশি ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে উচ্চ স্বরে গান বাজানো চলমান থাকে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন রাজধানীবাসী।
আরটিভি/কেএইচ