ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধ ছিল চলাচল। উদ্ধার শেষে শুক্রবার সকাল থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়, তবে এখনও ট্রেন ছাড়তে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। তারা জানান, ট্রেন ছাড়ার বিষয়ে অনলাইনে আপডেট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হতো। এ সময় টিকিট ফেরত দিতে ইচ্ছুক যাত্রীদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
দুর্ভোগে পড়েছেন অসংখ্যা যাত্রী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও দেখা নেই ট্রেনের। এ সময় স্টেশন ম্যানেজারকেও তার ঘরে পাননি যাত্রীরা। এক পর্যায়ে যাত্রীরা স্টেশনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে সমস্যার দ্রুত সমাধানে কাজ চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো সময় দিতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। জানিয়েছে ট্রেনের যাত্রা বাতিল ও বিলম্বের বিষয়টি মেসেজ দিয়ে জানানো হয়েছে যাত্রীদের। যারা টিকেট ফেরত দিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য রাখা হয়েছে রিফান্ডের ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাড়ার দুই মিনিটের মধ্যে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার কারণে কোন ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছাড়েনি। আটকা পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন। আর এতেই চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার জায়গায় ম্যানুয়ালি রেল সিস্টেম অপারেট করায় দেরি হচ্ছে ট্রেন। এছাড়া ঢাকায় পৌঁছানোর পর ট্রেনগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে নানা কাজ শেষে আবারও গন্তব্যের পথে পাঠানো হয়। তবে বৃহস্পতিবার রাতের দুর্ঘটনায় এসব কাজ করতে সময় লেগেছে।
স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছে, রেলের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর শিডিউল বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে আগামীকাল (শনিবার) পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আরটিভি/এমএ/এআর
মন্তব্য করুন