মেজরকে লাঞ্ছিত করায় গুলশান থানার এসি সোহেল প্রত্যাহার
সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গুলশান থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. সোহেল রানাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে ডিএমপির সদর দপ্তরে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক মাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিতণ্ডার একপর্যায়ে মেজর পরিচয় দেওয়া ওই সেনা কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছেন সোহেল। পরিচয় দেওয়ার পরও ওই সেনা কর্মকর্তাকে এসির নির্দেশে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই সময় মেজরের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।
এ ঘটনার পর ওই মেজরের পা ধরে ক্ষমাও চান এসি সোহেল। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
আরটিভি/এসএপি-টি
মন্তব্য করুন
সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আটক
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আটকের কথা জানিয়েছেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, একটি অভিযোগের রিক্যুইজিশনের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। সে অনুযায়ী তাকে নির্ধারিত থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
এদিকে বিকালে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পুলিশ নিয়ে যায় বলে পুণ্ডরীক ধামের ফেইসবুক পেজে অভিযোগ করা হয়।
পোস্টে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর ছবি দিয়ে লেখা হয়, ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ৫ আগস্টের পর দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীর নামে কয়েক দফা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেসব সমাবেশ থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমান সরকারের উদ্দেশে নানান হুমকি-ধমকিমূলক বক্তব্য রাখেন। তবে আগে থেকে তিনি আলোচনায় থাকলেও গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠে ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশে বেশি আলোচনায় আসেন।
ওই সমাবেশ করা হয় বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের নামে। সমাবেশে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসই বাংলাদেশের হিন্দুদের মঠ-মন্দিরে হামলা বাড়িঘরে লুট, অগ্নিসংযোগসহ নানান অভিযোগ করেন। অথচ, তার বিরুদ্ধেই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস।
মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাস ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু(৩৮), ডা. কথক দাস (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাস (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ অগাস্ট গণঅভুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা নিউমার্কেট মোড়ে একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। গত ২৫ অক্টোবর লালদীঘি ময়দানে সনাতনীদের সমাবেশের দিন ওই পতাকার ওপর ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা স্থাপন করে দেওয়া হয়, যা রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার শামিল।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় পাতাকা উত্তোলন করে আসামিরা দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার রাষ্ট্রদোহ কাজে লিপ্ত আছে।
দণ্ডবিধির ১২০(খ), ১২৪(ক), ১৫৩(ক), ১০৯ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়।
আরটিভি/একে-টি
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, বৈঠকের প্রস্তাবে দুই অধ্যক্ষের অসম্মতি
রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে তিন কলেজের অধ্যক্ষকে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে তাতে অসম্মতি জানিয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহম্মদ হাবিবুর রহমান ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ১০টায় তিন কলেজের অধ্যক্ষকে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম।
বৈঠকের বিষয়ে কবি নজরুলের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গত দুদিন ধরে চলমান সংঘর্ষে কারা ইন্ধন দিয়েছে এটা খুঁজে বের করতে হবে। এত দূর থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এসে কীভাবে হামলা চালায়? তাদের অস্ত্র ও অর্থ কারা সরবরাহ করেছে? এসব বিষয় স্পষ্ট করে বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি বৈঠকে বসতে চাচ্ছি না।
তিনি বলেন, সমন্বয়ক পরিচয়ে আমাকে দুজন ফোন দিয়ে বৈঠকের কথা বলেছেন, আমি তাদের ‘না’ করে দিয়েছি। আমি তাদেরকে ঠিক মত চিনি না, জানি না; তারা কি সমাধান করবেন? সরকারের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এর সুষ্ঠু সমাধান হোক।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম আমাকে ফোন করে রাত ১০টায় রাজধানীর রূপায়ন টাওয়ারে একটি বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে কলেজের সিনিয়র শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদেরও থাকার জন্য বলেছেন। তিনি আমাকে বলছেন এ বৈঠকের মাধ্যমে চলমান সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তিনি বলেন, কবি নজরুলের অধ্যক্ষ যেহেতু যাচ্ছেন না, তাই আমিও সেখানে যাচ্ছি না। আমার শিক্ষার্থীরাও ওইখানে যেতে রাজি না। আজকে আমাদের ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা বৈঠকে বসতে পারি না।
ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বৈঠকে যাচ্ছেন কি না জানতে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এ ছাড়া বৈঠকের বিষয়ে জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলামকে ফোন করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেলে মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় রোববার ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়। পূর্বঘোষিত সেই ‘সুপার সানডে’ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল এবং পাশের সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ‘মেগা মানডে’ কর্মসূচির ডাক দেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এদিন তারা ডেমরা সড়ক সংলগ্ন মোল্লা কলেজে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনায় মোল্লা কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
আরটিভি/এফএ
শাহবাগে লোকজন জড়ো করার চেষ্টা, আরেক সংগঠক গ্রেপ্তার
রাজধানীর শাহবাগে জনসভার পর ‘বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণ’ দেওয়ার কথা বলে মানুষ জড়ো করার দায়ে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, মাহবুবুল আলম চৌধুরী অহিংস গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব এবং অন্যতম আহ্বায়ক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা। পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এরআগে, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খলিল মনসুর অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, ‘বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে জনপ্রতি এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে, এ জন্য শাহবাগে বিশাল সমাবেশে জড়ো হতে হবে’ এমন কথা বলে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করা হয়। সমাবেশের মাধ্যমে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান’ নামের সংগঠনের বিরুদ্ধে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে ।
আরটিভি/কেএইচ-টি
বনশ্রীতে যাত্রীবাহী বাসটি খালে পড়ার কারণ জানা গেল
রাজধানীর বনশ্রীতে আলিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে খালে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকজন যাত্রী জানান, রাজধানীর বনশ্রীতে এক নারী যাত্রীকে নামানোর সময় পড়ে যাওয়ায় অন্য যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে চালককে মারধর করতে থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ফলে বাসটি খালে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রামপুরা যাওয়ার পথে আলিফ নামে যাত্রীবাহী বাসটি হঠাৎই বাঁ দিক থেকে রাস্তার ডান পাশে খালে গিয়ে পড়ে। এসময় প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধার শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।
বাসটিতে ৩০-৩৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা যায়। এই ঘটনায় একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি যারা ছিলেন তাদের উদ্ধার করে পাশের এক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এক নারী যাত্রীকে নামাতে গিয়ে পড়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অন্য যাত্রীরা হেলপারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কয়েকজন যাত্রী চালককে মারধর শুরু করে। এরইমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খালে পড়ে যায় বলে জানান বাসের যাত্রীরা।
বাসে থাকা এক যাত্রী বলেন, ‘চার নারী ও দুই পুরুষ যাত্রীর সঙ্গে প্রথমে বাসের কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। কন্ট্রাক্টরের চাওয়া অনুযায়ী ১৫ টাকা করে তাঁরা ভাড়াও দেন। তবে ওই যাত্রীদের যেখানে নামানোর কথা ছিল, সেখানে নামানো হয়নি। গাড়িটি রানিংয়ের ওপর ছিল। এক নারী নামার সময় পা পিছলে পড়ে যান। পরে দুই পুরুষ যাত্রী চালকের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান। তারা চালকের কলার ধরে মারধর করেন। আমরা মারধর করতে নিষেধ করি। তবে তাঁরা থামছিলেন না। তাদের প্রশাসনের লোক মনে হয়েছিল। পরে বাসটি বনশ্রীতে ফেমাস হসপিটালে সামনে এসে থামে। তখনও যাত্রীরা চালককে মারধর করছিলেন। চালক মারধর থেকে বাঁচতে বাসটি নদীর দিকে নিয়ে যান। এরপর চালক গ্লাস ভেঙে বের হয়ে যান। কিছু যাত্রী নদীতে পড়ার আগেই লাফিয়ে বের হন। তবে কিছু যাত্রী নদীতে পড়ে যান, তারাও পরবর্তীতে বের হন।
রামপুরা থানার এসআই গোলাপ মাহমুদ বলেন, ‘ডেমরার মস্ত মাঝি এলাকা থেকে চারজন নারী ও দুজন পুরুষ যাত্রী বাসটিতে ওঠেন। তাদের মেরাদিয়া বাগান বাড়ি এলাকায় নামার কথা ছিল। তাদের ঠিকমতো নামিয়ে দেননি গাড়িচালক। একজন নারী বাস থেকে নামার সময় পড়ে যান। তখন তার সঙ্গে থাকা দুই পুরুষ যাত্রী গাড়ি চালককে গাড়িটি থামিয়ে ভালো করে নামানোর অনুরোধ জানান। তবে গাড়িচালক তাদের অনুরোধ না শুনে চালাতে থাকেন। এরপর ওই দুই পুরুষ যাত্রী গাড়ি চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। চালককে মারধর করেন। একপর্যায়ে গাড়িটি উল্টে খালে পড়ে যায়। এতে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
আরটিভি/এআর
মগবাজার ক্রসিংয়ে আটকে পড়ল গাড়ি, দুমড়েমুচড়ে চলে গেল ট্রেন
রাজধানীর মগবাজারে সিগন্যালের কারণে ক্রসিংয়ে আটকে পড়ে কয়েকটি গাড়ি। এ সময় হঠাৎ ট্রেন চলে আসায় ধাক্কা খেয়ে দুমড়েমুচড়ে যায় গাড়িগুলো।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মগবাজার রেলগেট এলাকায় ঘটে এ দুর্ঘটনা।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু জানান, দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি।
আর ঢাকার রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, কিছুক্ষণ আগে আমাদের কন্ট্রোল রুম তথ্য পেয়েছে। আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, সন্ধ্যায় কমলাপুরগামী একটি ট্রেন রেললাইনে আটকে যাওয়া তিন-চারটা গাড়িকে দুমড়েমুচড়ে চলে গেছে। এর মধ্যে একটি হাইয়েস, একটি প্রাইভেটকার, একটি অটো এবং একটি মোটরবাইক রয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
আরটিভি/এসএইচএম
নরসিংদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫ জন ঢামেকে
নরসিংদীর রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ গুলিবিদ্ধ ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার মেথিকান্দা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুরুতর অবস্থায় গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, মো. রাসেল (২২), মো. বাদল (৬০), মো. মারুফ হোসেন (১৫), মো. আমির হোসেন (২৫) ও সুফিয়া বেগম (৪০)।
গুলিবিদ্ধ এই ৫ জনকে আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভোরে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে আমার ভাই, ভাবি, ভাতিজাসহ পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, আহতদের মধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আমার চাচাতো ভাই আমির হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) ফারুক হোসেন বলেন, সকালে নরসিংদী থেকে নারীসহ পাঁচজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
আরটিভি/আইএম/এস
খিলগাঁওয়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের কারণ জানাল পুলিশ
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তিলপাপাড়া এলাকায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার বিকেলের এই ঘটনায় কয়েক কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
ওসি বলেন, জামালপুরগামী যমুনা এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে ছাড়ার পর তিলপাপাড়া এলাকা পৌঁছালে ট্রেনটির জানালা লক্ষ্য করে একদল যুবক পাথর নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় রেলওয়ের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, গত ৩০ নভেম্বর খিলগাঁও তিলপাপাড়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক যুবক আহত হন। পরে ৪ ডিসেম্বর খিলগাঁও থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলায় একজন গ্রেপ্তার হলেও পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। এর জের ধরে একদল যুবক যমুনা এক্সপ্রেসের জানালা লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছেন।
এরই মধ্যে যমুনা এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেলওয়ে থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে। তুচ্ছ কারণে একদল দুর্বৃত্ত এর আগেও ট্রেনে পাথর ছুড়েছে।
আরটিভি/এসএপি-টি