• ঢাকা রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১
logo

‘বাংলার আদি নববর্ষের খোঁজ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আরটিভি নিউজ

  ০২ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৩০
‘বাংলার আদি নববর্ষের খোঁজ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

পহেলা অগ্রহায়ণ বাংলার আদি নববর্ষের খোঁজ শিরোনামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যের আয়োজনে শনিবার (২ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আদনান আরিফ সালিম। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল জাহীদ।

বাংলার নববর্ষ ছিল পহেলা অগ্রহায়ণ। বাংলা বছরের পঞ্জিকায় যে ১২টি মাস আছে, তার মধ্যে ১১টিই নক্ষত্রের নামে। এ ক্ষেত্রে ‘বৈশাখ’ বিশাখা নক্ষত্রের নামে, ‘জ্যৈষ্ঠ’ জ্যাষ্ঠা নক্ষত্রের নামে, ‘আষাঢ়’ আষাঢ়ার নামে এবং এভাবে শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র যথাক্রমে শ্রবণা, পূর্বভাদ্রপদা, অশ্বিনী, কৃত্তিকা, পৌষী, মঘা, ফাল্গুনী ও চিত্রার নামে। যে মাসটি নক্ষত্রের নামের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, সেটি হচ্ছে অগ্রহায়ণ। এই নামটির সঙ্গেই মিশে আছে বাংলার কিছু ইতিহাস, কিছু স্মৃতি এবং কিছু বিস্মৃত হয়ে যাওয়া তথ্য।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসউদ ইমরান মান্নু বলেন, আমরা আমাদের বাঙালি আদি সংস্কৃতির সঙ্গে বহু নতুন জিনিস ধারণ করেছি। আমরা ফাস্টফুড খেতে হাজার টাকা খরচ করি কিন্তু বাঙালি পিঠা কিনতে দুইশো টাকা খরচ করতে পারি না। আমরা আমাদের সন্তানদের শেকড়ের সংস্কৃতির থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি। গরীবের পান্তা ভাত কে আমরা গরম ভাতে পানি দিয়ে খাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত করেছি। বৈশাখ ছিল আমাদের বিজনেসম্যানদের উৎসব। নবান্নই আমাদের মূল উৎসব।

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম এরকম একটি ব্যতিক্রমি আয়োজনের জন্য বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যকে ধন্যবাদ জানান এবং পহেলা অগ্রহায়ন আদি নববর্ষের খোঁজ এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তর গবেষণার আহ্বান জানান।

সেমিনারে আবৃত্তি শিল্পী ও গবেষক নাসিম আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, পহেলা অগ্রহায়ণ নতুন একটি উৎসব হিসেবে চালু হোক। বৈশাখ এখন আমাদের নগর জীবনের সংস্কৃতির উৎসব হিসেবে যোগ হয়েছে। ফলে এখানে যোগ হয়েছে বিভিন্ন সংস্কৃতির মিশ্রণ। পরিশেষে তিনি বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

আবৃত্তিশিল্পী সারমিন ইসলাম জুঁইয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যের সদস্য সচিব কল্লোল শরিফী। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যের আহবায়ক মৃন্ময় মিজান।

আরটিভি/আরএ

মন্তব্য করুন

rtv Drama
Radhuni
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভিয়েতনামে বাংলা নববর্ষ উদযাপন 
পর্তুগালে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের প্রথম সফল আয়োজন
হিলি সীমান্তে বাংলা নববর্ষ পালিত
মানুষের সেবা করাই হোক নতুন বছরের অঙ্গীকার : জয়