রাজধানীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
রাজধানীতে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলী আসাদ (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-১ এলাকার ফ্লাইওভারের ঢালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মোটরসাইকেলে চালিয়ে যাওয়ার সময় যেকোনো একটি যানবাহনের ধাক্কায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, বিস্তারিত জানতে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।
আরটিভি/আইএম-টি
মন্তব্য করুন
শাহবাগে সরকারি প্রতিষ্ঠানের আউটসোর্সিং কর্মীদের বিক্ষোভ
সরকারি প্রতিষ্ঠানের আউটসোর্সিং কর্মীদের বিক্ষোভ চলছে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে। চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন্ন ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যাচ্ছে তাদেরকে।
বিক্ষোভরতদের সড়ক অবরোধের কারণে শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে রাজধানীর ব্যস্ততম এই মোড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সকাল ১০টার দিকে কয়েকশ’ কর্মচারী শাহবাগে জড়ো হয়ে আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা যায়।
এদিকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ অন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
তত্ত্বাবধায়ক বাতিলে রায়ের তোয়াক্কা করেননি শেখ হাসিনা: বিচারপতি মতিন
সাবেক বিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, রায়ের তোয়াক্কা না করে নিজের সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে দেন শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সিআরডিএপি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
কিছু অধিকার সব কিছুর ঊর্ধ্বে দাবি করে এম এ মতিন বলেন, সব অধিকার সংবিধানে লেখা থাকে না। তাইতো ছাত্ররা এবার বিপ্লবে সে সব অধিকার প্রয়োগ করেছে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে বলেন, এ জন্য সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করতে হবে। তবেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আসবে।
এ সময় তিনি বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ রাখতে হবে, নাহয় তা সংশোধন করতে হবে। এর বিকল্প নেই বলেও মত দেন সাবেক এই বিচারপতি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিচারবিভাগ স্বাধীন ছিল না মন্তব্য করে একই অনুষ্ঠানে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে কুক্ষিগত করা হয়েছিল। একই অবস্থা ছিল বিচারবিভাগেরও। বিচারবিভাগ ক্ষমতাসীনদের আজ্ঞাবহ ছিল।
বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা অত্যন্ত জরুরি বলে মতদেন এই আলোচক।
আরটিভি/এএইচ-টি
বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবিতে ঢাকা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষায় বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ করছেন একদল পরীক্ষার্থী।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিক্ষোভ পালনকালে তাদের ওপর হামলা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। হামলায় তাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইতোমধ্যে যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। এ জন্য তারা সবগুলো বিষয়ে ‘ম্যাপিং’ পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে ফলাফল নতুন করে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার পর ‘এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪’-এর ব্যানারে একদল পরীক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেলা ১টার দিকে মিছিলটি বোর্ডের ফটকের সামনে পৌঁছায়।
একপর্যায়ে ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্ট ওই শিক্ষার্থীরা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তারা দাবি করছেন, বোর্ডের ভেতরে তাদের ওপর হামলা হয়। এই হামলায় তাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, হঠাৎ করে কিছু শিক্ষার্থী ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এমনকি তারা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষেও ভাঙচুর চালান। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের কক্ষেও ঢুকে পড়েন। বোর্ড চেয়ারম্যানকে ঘিরে সেখানে বিক্ষোভ করছেন তারা। ফল বাতিলের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে যাবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে বাতিল পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল তৈরি করেছি। এখানে কেউ বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও শিক্ষার্থীরা কী বলতে চায়, শুনবো। সেগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমরা অবগত করবো।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ব্যাপারে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন জানান, ফলাফলে বৈষম্য হয়েছে—এই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এর প্রতিবাদে তারা বোর্ডের সামনে অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে বোর্ডের ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা। নথিপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রক্ষায় বোর্ডের কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের বাধা দেন। তখন ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা এখনও বোর্ডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধি দল ঠিক করে দিলে, পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
আরটিভি/এসএইচএম
গৃহকর্মীকে পাশবিক নির্যাতনকারী দিনাত জাহান রিমান্ডে
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসার কিশোরী গৃহকর্মীকে গা শিউরে ওঠা পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত দিনাত জাহান আদরকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (২০ অক্টোবর) গ্রেপ্তার জিনাত জাহান আদরের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওবাদুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, শনিবার দুপুরে ১৩ বছর বয়সী গৃহকর্মী কল্পনাকে উদ্ধার করে ভাটারা থানা পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় নৃশংস নির্যাতনকারী তরুণী জিনাত জাহান আদরকেও।
জানা গেছে, চার বছর ধরে কল্পনাকে অমানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। বিনা কারণে মারধরের পাশাপাশি তাকে খাবারও দেওয়া হতো না ঠিকমতো। গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে করতে হতো কাজ। কাঠ দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে সামনের চারটি দাঁত। চুল সোজা করার ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দুই হাত।
প্রতিবেশীরা জানান, নির্যাতনে অভিযুক্ত দিনাত জাহান আদর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। বর্তমানে কিছুই করেন না। বাসায় এক ভাই ও বন্ধুরা আসে মাঝে মাঝে। নির্যাতনের বিষয়ে তারা কিছুই টের পাননি।
ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ মাজাহারুল ইসলাম জানান, শিশুটির পরিবারের খোঁজ চলছে।
আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে কল্পনাকে দেখতে গিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এই নির্মম আচরণ মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আজকাল গৃহকর্মীদের ওপর প্রায়ই নির্যাতন ও অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের অপরাধকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া বা এ ব্যাপারে শিথিলতা দেখানোর সুযোগ নেই।
গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষা ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিশন এরই মধ্যে গৃহকর্মী নির্যাতনবিরোধী আইনের একটি খসড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় তিনি আহত গৃহকর্মীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিতের বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
আরটিভি/টিআই
মুজিবের মূর্তি ভেঙে দিয়ে ছেলেপেলে ঠিক কাজ করেছে: মাহমুদুর রহমান
জুলাই বিপ্লবের পর ছেলেপেলে মুজিবের মূর্তি ভেঙে দিয়ে সঠিক কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘ডায়ালগ ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘ফ্যাসিবাদী বয়ান নির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা: একটি পর্যালচোনা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান বলেন, ১৫ বছর ধরে আমরা গণমাধ্যমে মুজিব বন্দনা দেখেছি। মুজিব মহামানব, মুজিব মহানায়ক, বাংলাদেশ মানে মুজিব, স্বাধীনতা মানে মুজিব, মুজিবের বিশেষণের কোনো শেষ নেই। সারা দেশে মুজিবের মূর্তিতে ভরে গেছে। বিপ্লবের পর ছেলেপেলে মুজিবের মূর্তি ভেঙে দিয়েছে, এটা সঠিক কাজ করেছে। আমার বয়স কম থাকলে, আমি উপস্থিত থাকলে, আমিও যোগদান করতাম।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের জন্য কয়েকটি বিষয়ের প্রয়োজন হয়, একটা বিষয় হলো কাল্ট তৈরি করা, পাবলিক এনিমি, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, নিয়ন্ত্রিত বিচার বিভাগ এবং ফ্যাসিবাদের পক্ষে বয়ান ও প্রচারণা। ৭২ সাল থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান এ কাজগুলো করেছে, পরে শেখ হাসিনাও করেছে।
কাল্ট তৈরির কাজটা মিডিয়া করেছে দাবি করে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আরও বলেন, ইসলামের প্রতি একটা বিদ্বেষ তৈরি করা হয়েছে, ডেমোনাইজ করা হয়েছে, ডেমোনাইজের যে কার্ডটা খেলা হয়েছে সেটা জঙ্গি কার্ড, ইসলামি জঙ্গি কার্ড। গ্রামের সব কৃষক দরিদ্র পরিবারের ছেলেদের ধরে এনে, তাদেরকে ডিবিতে আটকে রেখে, গুম করে, তাদের রেকর্ড দেখানো হতো না। তাদেরকে একটা বাড়িতে ট্রান্সফার করা হতো। যেমন- ঢাকা শহরের জাহাজবাড়ি। জাহাজবাড়িতে তাদের রেখে জঙ্গি আস্তানা বলে গণহত্যা চালানো হয়েছে। জাহাজবাড়ি কিছুই না, এটা সরকারের জঙ্গি কাজ, পুরোটাই জঙ্গি কাজের প্রচারণা। সমাজে ঘৃণার মাধ্যমে বিভাজন তৈরির কাজও মিডিয়া করেছে।
বাংলাদেশের মিডিয়ায় ভারতীয় আগ্রাসন রয়েছে এবং তা স্বাধীনতার পর থেকে এখনও চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ভারতের বয়ানের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমরা আবার ‘আমার দেশ’ পুনঃপ্রকাশ করছি, ডিসেম্বর নাগাদ শুরু হবে। আমার দেশ স্বাধীনতার কথা বলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে।
ডায়ালগ ফর ডেমোক্রেসির আহ্বায়ক শেখ মো. আরমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি।
আরটিভি/এসএইচএম
ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থায় যুক্ত করা হলো শিক্ষার্থীদের, পাবেন সম্মানী
ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ও শৃঙ্খলা আনতে পুলিশের সঙ্গে কাজ করতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক অবস্থায় ৩০০ শিক্ষার্থী এই কাজে যুক্ত হচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। আর এ জন্য শিক্ষার্থীদের সম্মানীও দেওয়া হবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ডিএমপি ট্রাফিক পক্ষ-২০২৪ উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই ট্রাফিক পক্ষে এবং এরপরেও আমাদের সঙ্গে ছাত্র ভাইয়েরা থাকছেন। প্রথম অবস্থায় ৩০০ জন ছাত্র আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। পরে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। তাদের আমরা একটা সম্মানী দেব, এ সম্মানীর পরিমাণটা এখানে বলতে চাইছি না। একটা রিজনেবল সম্মানী তাদের দেব। আপনারা দেখেছেন ৫ আগস্টের পরে তারা রাস্তায় ভালো কাজ করেছে। এখন আমাদের সঙ্গে যদি তারা কাজ করে হয়তো রাস্তার পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ এ শহরে বসবাস করে। রাস্তা অপ্রতুল হওয়ায় যানবাহনের ধারণক্ষমতা কম। ঢাকায় যে পরিমাণ রাস্তা থাকা দরকার বাস্তবে তা নেই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ঢাকামুখিতাও কমানো যাচ্ছে না। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো বৃদ্ধি পেলেও পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। মূল সড়কে জনগণের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে আরামদায়ক যানবাহন উল্লেখযোগ্যভাবে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি একই সড়কে রিকশা ঠেলাগাড়িসহ অসংখ্য অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করে। মানুষ তার প্রয়োজনে এসব যানবাহনের দ্বারস্থ হচ্ছে। ফলে ঢাকা মহানগরীতে সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন কঠিনতর হচ্ছে। অন্যদিকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন দাবি দাওয়ার কারণে সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে যাচ্ছে এবং বৈধ-অবৈধ যানবাহনের আধিক্যের কারণে যানজট দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বৈধ-অবৈধ যানবাহনের আধিক্যের কারণে যানজট দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করছে। শুধু সরকার কিংবা পুলিশের মাধ্যমে কাজ করে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থার আশানুরূপ উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন নগরে বসবাসকারী প্রত্যেকটি জনগণের সস্পৃক্ত করা।
ট্রাফিক শৃঙ্খলাকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আনার জন্য ছাত্র-জনতাসহ নগরের জনসাধারণকে সচেতন ও সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে নগরের ট্রাফিক শৃঙ্খলা উন্নয়ন সম্ভব। এ লক্ষ্য সামনে রেখে ডিএমপি ২১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত পক্ষকালব্যপী একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কাজে যেমন গতিশীল হবে, তেমনি ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়ন ঘটার মাধ্যমে জনভোগান্তি অনেক কমে আসবে।
ট্রাফিক পক্ষ উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক চালক, যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ; ট্রাফিক সাইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান; সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি; দর্শনীয় স্থানে ব্যানার স্থাপন; ট্রাফিক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন; শ্রমিক ও বাস মালিক প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন; রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড, বিএনসিসি সদস্য ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
আরটিভি/একে-টি
রয়্যাল এনফিল্ড কিনতে মধ্যরাত থেকে ক্রেতার লাইন
মোটরসাইকেলের জগতে আইকনিক ব্র্যান্ড ‘রয়্যাল এনফিল্ড’ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে লঞ্চ হয়েছে ব্র্যান্ডের চারটি মডেলের মোটরসাইকেল। মোটরসাইকটি কিনতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে প্রি-বুকিং। আর প্রি-বুকিং দিতে গতকাল মধ্যরাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রেতারা। এখনও শতশত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রয়্যাল এনফিল্ডের ফ্ল্যাগশিপ শোরুম ঘুরে দেখা যায়, কাঙ্ক্ষিত মোটরসাইকেল পেতে শোরুমের ভেতর রয়েছেন শতাধিক ক্রেতা। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা শোরুমের ভেতরেও প্রি-বুকিং নিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
শোরুমের একজন নিরাপত্তাকর্মী জানিয়েছেন, সকালের দিকে যারা প্রি-বুকিং দিয়েছেন তারা রাত ৩টা ও এরপর থেকে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন।
প্রি-বুকিং দেওয়া এক ক্রেতা বলেন, এখানে আসছি সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে, কিন্তু শো-রুমে ঢুকতে পেরেছি দুপুর দেড়টার দিকে। তারপর প্রি-বুকিং দিতে পেরেছি। পছন্দের বাইক প্রি-বুকিং দিতে আমার এক বছরের অপেক্ষা শেষ হলো আজ।
এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ মোটরসাইকেল প্রি-বুকিং হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি বাংলাদেশে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রস্তুতকারক ও পরিবেশক ইফাদ মোটরস লিমিটেডের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে তাদের একজন বলেন, অনেকে অনলাইনে প্রি-বুকিং দিয়েছেন। আবার অনেকেই নগদ টাকায় প্রি-বুকিং দিতে চান, তারা আজ এখানে এসেছেন। ফলে এখন আমরা সবাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। এখনই এই হিসাবটা বলা যাচ্ছে না। প্রি-বুকিং মানি ধরা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
এর আগে, ২১ অক্টোবর এই শোরুমে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের যাত্রা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের বাজারের জন্য ৩৫০ সিসির চারটি মডেলের মোটরসাইকেল লঞ্চ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে— হান্টার, ক্লাসিক, বুলেট ও মিটিয়র।
ইফাদ মোটরস লিমিটেডের রয়্যাল এনফিল্ড বিভাগের হেড অব বিজনেস মমিনুর রহমান তানভীর জানান, বাজারে হান্টার মডেলের দাম শুরু হয়েছে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে; ক্লাসিক মডেলের দাম শুরু হয়েছে চার লাখ ৫ হাজার টাকা থেকে; বুলেট মডেলের দাম শুরু হয়েছে চার লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে এবং মিটিয়র মডেলের দাম শুরু হয়েছে চার লাখ ৩৫ হাজার টাকা থেকে।
তিনি বলেন, এই চারটি মডেলে থাকবে উন্নত ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম এবং পরিমার্জিত সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ‘জে’ (J) সিরিজের ইঞ্জিন। এ ছাড়া রং ও ব্রেকিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে আলাদা ভেরিয়েন্টও থাকবে। রয়্যাল এনফিল্ডের মোটরসাইকেল কিনতে হলে প্রি-বুকিং বাধ্যতামূলক। ক্রেতারা এটি ওয়েবসাইট ও শোরুম থেকে প্রি-বুকিং করতে পারবেন।
জানা গেছে, রয়্যাল এনফিল্ড উৎপাদনের জন্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় একটি সর্বাধুনিক উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করেছে ইফাদ মটরস লিমিটেড। এটি স্থানীয়ভাবে বিশ্বমানের মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে সক্ষম।
দীর্ঘ দুই দশক ইঞ্জিন সক্ষমতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে রাখার পর ২০২৩ সালে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন সক্ষমতার মোটরসাইকেলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকার।
উল্লেখ্য, রয়্যাল এনফিল্ডের মোটরসাইকেল উৎপাদনের যাত্রা শুরু ১২৩ বছর আগে, ইংল্যান্ডে। মূলত সামরিক ব্যবহারের জন্য মোটরসাইকেলটির উৎপাদন শুরু হয়। এটি এখনো চালু থাকা বিশ্বের প্রাচীনতম টু–হুইলার ব্র্যান্ড।
জানা যায়, ১৯৫০–এর দশকে রয়্যাল এনফিল্ড ভারতের মাদ্রাজ মোটরসের সঙ্গে যৌথভাবে এনফিল্ড ইন্ডিয়া গঠন করে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বুলেট ৩৫০ মোটরসাইকেল সংযোজন শুরু করে। পরের কয়েক দশকে রয়্যাল এনফিল্ড ভারতীয় মোটর সাইক্লিংয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে। যুক্তরাজ্যে ১৯৭০ সালে এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে রয়্যাল এনফিল্ড ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আইশার মোটরসের শতভাগ নিয়ন্ত্রণাধীন।
আরটিভি/একে