‘অভিন্ন নদীর পানিকে ভারত অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে’
বাংলাদেশকে চাপে রাখতে ভারত সীমান্ত পাড়ি দেওয়া নদীর পানি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই সীমান্ত পাড়ি দেওেয়া নদীর পানির অসম বণ্টনের ভুক্তভোগী বাংলাদেশ। অসময়ে অতিরিক্ত পানির প্রবাহে যেমন বন্যা দেখা দেয়, তেমনি শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে ব্যাহত হয় কৃষিকাজ। এমন দাবি করেছেন আলোচকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) আয়োজিত ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত প্রশ্ন: সমাধানের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনায় এসব অভিযোগ তোলেন বক্তারা।
ভারতের সঙ্গে পানির চুক্তিতে ন্যায্যতা না পাওয়ার পুরো দায় শাসক গোষ্ঠীর অভিযোগ করে আলোচকরা প্রশ্ন তোলেন অভিন্ন নদীতে ভারতের আন্তর্জাতিক আইন কতটুকু মানা হয়। এ সময় পররাষ্ট্র নীতিতে সংস্কার আনার দাবি জানান তারা।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চাহিদা গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠনগুলো সক্রিয় করার ব্যাপারেও কাজ করার আহ্বান বক্তারা। একই সঙ্গে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধসহ দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক রাখতে পারস্পরিক স্বার্থের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে সবাইকে একই সঙ্গে ভারতের যেকোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা উচিত। দু’দেশের পারস্পরিক সম্মানবোধ থাকতে হবে। পরস্পরের স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল্লাহ কুফী বলেন, ভারত কী চীন সীমান্তে কোনো মানুষ হত্যা করছে? পাকিস্তান সীমান্তেও কী কাউকে হত্যা করতে পারছে? অথচ বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যা করা হচ্ছে। তাহলে সবচেয়ে বড় শত্রু কে? আমরাই কি সবচেয়ে বড় শত্রু? বৃহৎ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে ভারতকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেওয়ার পরামর্শ দেন এই বক্তা।
আরটিভি/এএইচ/এসএ
মন্তব্য করুন