সাবেক কাউন্সিলর ফোরকান গ্রেপ্তার
একাধিক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাজধানীর উত্তর সিটির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাবেক কাউন্সিলর ফোরকান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।
আরটিভি/এমএ
মন্তব্য করুন
উপদেষ্টাদের আশ্বাসে হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা
দাবি আদায়ে দিনভর বিক্ষোভের পর গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা মধ্যরাতে বিছানাপত্র নিয়ে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে সুচিকিৎসার আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। আর এতেও যদি কাজ না হয়, তবে পরবর্তীতে তারা আরও কাঠোর কর্মসূচি দেবেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে গভীর রাতেই অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী তাদের কাছে ছুটে যান। পরে তাদের আশ্বাসে আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে ফিরে যান।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের সড়কে যান।
এ সময় উপদেষ্টারা ভুল স্বীকার ও দুঃখপ্রকাশ করেন। পাশাপাশি আহতদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ২টায় সচিবালয়ে বৈঠকে বসার কথা বলেন।
একইসঙ্গে আহতদের প্রতিনিধি দলের সচিবলায়ে যাওয়ার জন্য দুটি গাড়ি পাঠানোর কথা জানিয়ে তারা আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করে তা ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দেন।
প্রথমেই আহতদের উদ্দেশে কথা বলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, এখন এখানে আপনাদের কথা শোনার মতো উপযুক্ত সময় নয়। আপনারা কাল ২টার সময় সচিবালয়ে আসেন। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে। সেই রূপরেখা ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
মাহফুজ আলম আরও বলেন, আপনাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হবে।
পরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের ব্যর্থতা, আমাদের ভুল আছে। কিন্তু চেষ্টার দিক দিয়ে আমাদের ঘাটতি ছিল না। যেকোনো কারণেই হোক আমরা পারিনি। আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখুন, আমরা একটি কংক্রিট (সুষ্পষ্ট) রূপরেখা দিব, লিখিত দিব।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, একটা ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। বহু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আসুন, আমরা আলোচনার ভিত্তিতে একটা রূপরেখা তৈরি করি। সেটা ঠিকমতো বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য আপনারা একটা টিম করবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, আমরা কথা দিচ্ছি, আপনাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করব। না পারলে তখন যা ইচ্ছা করবেন, কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে আপনাদের সুষ্ঠু চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হবে।
এরপর আহতরা হাসপাতালে ফিরতে রাজি হলে উপদেষ্টারা তাদের নিয়ে ভেতরে ঢোকেন। পরে তারা রোগীদের হাসপাতালের শয্যায় পৌঁছে দিয়ে পঙ্গু হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি অন্য রোগীদের দেখে রাত সোয়া ৪টার পর বাসার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
এর আগে, বুধবার বেলা একটার পর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে তাদের এ অবস্থান শুরু হয়। দিনভর সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। সন্ধ্যার পর প্রথম দফায় ঘটনাস্থলে যান হাসনাত আবদুল্লাহ। সে সময় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আন্দোলনে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে যান। তবে তাদের অনুরোধে আহত ব্যক্তিরা রাস্তা ছাড়েননি। একপর্যায়ে তারা সেখান থেকে চলে আসেন। পরে রাত ১২টার দিকে সেখানে দ্বিতীয় দফায় হাজির হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তখন তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা যে চারজন উপদেষ্টাকে এখানে আসার দাবি জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজন ঢাকার বাইরে, একজন বিদেশে ও আরেকজন ক্যানসারের রোগী। তারা চাইলে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এখানে আসতে পারেন। আর তা না হলে বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা পর্যন্ত সময় দেওয়া যায়, তখন উপদেষ্টাদের সঙ্গে বসা যাবে।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে সালমান নামের একজন বলেন, আমরা হাসনাত ভাইয়ের সঙ্গে একমত। কালকে চার উপদেষ্টা আসা পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব।
প্রসঙ্গত, আহত ব্যক্তিদের এই বিক্ষোভের শুরু হয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের দেখতে সকালে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে যান। তার সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সবার সঙ্গে দেখা করেননি—এ অভিযোগে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পথে তার পথ আটকে বিক্ষোভ করেন আহত ব্যক্তিরা। পরে তারা রাস্তায় নামেন।
এমন পরিস্থিতি তখন শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ সদস্যরা সামাল দিতে পারেননি। পরে র্যাব-২ এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারপর দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনীর ৫টি ইউনিট হাজির হয়। কিন্তু কোনো বাহিনীর সদস্যরাই আহত আন্দোলনকারীদের থামাতে পারেননি। দিনভর সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিছানাপত্র নিয়ে এসে হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান করার ঘোষণা দেন তারা। এই বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের কারও এক পা নেই, দুই হাত নেই, আবার কারও চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আন্দোলনে আহত হয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
আরটিভি/আইএম-টি
দেশে আনার ১৪ বছর পর জব্দ হলো বিএমডব্লিউ, কারণ কী?
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মেসার্স মাল্টিব্র্যান্ড ওয়ার্কশপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএমডব্লিউ সেভেন সিরিজের একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানির অভিযোগে দেশে আনার ১৪ বছর পর গাড়িটি জব্দ হলো।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে গাড়িটি জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দারা।
এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক মো. মাজেদুল হক বলেন, নাগোয়া করপোরেশনের মাধ্যমে ২০১০ সালের মে মাসে গাড়িটি ছাড়করণ করা হয়। সেই সময় আমদানিকারক গাড়িটিকে বিএমডব্লিউ ফাইভ সিরিজ উল্লেখ করেন। তবে গাড়িটি সেভেন সিরিজের।
কর্মকর্তাদের ধারণা, জব্দ করা গাড়িটি মিথ্যা ঘোষণায় দলিলাদি জালিয়াতি করে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে শুষ্ক ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম দিয়ে আমদানিপূর্বক ছাড়করণ করা হয়েছে। যা কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর সেকশন ১৮, ৩৩, ৯০, ১২৬ এর আইনের লঙ্ঘন এবং একই আইনের ২ (২৪) অনুসারে চোরাচালান হিসেবে গণ্য হওয়ার অপরাধ হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
ইউরোপীয় দূতাবাস স্থাপনের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন
ভিসার ভোগান্তি এড়াতে বাংলাদেশে ইউরোপীয় দেশগুলোর দূতাবাস অথবা মিশন স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ভিসাপ্রত্যাশীরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে ভিসাপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ নামের একটি সংগঠন।
ভারতের ভিসা পেতে ভোগান্তির অভিযোগ তুলে ভিসা প্রত্যাশীরা বলেন, দিল্লিতে অবস্থিত ইউরোপীয় দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে বাংলাদেশের নাগরিকরা সময়মতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সঠিক নথিপত্র থাকার পরও ভ্রমণের জন্য ভারত ভিসা প্রত্যাখ্যান করছে, যার জন্য ভিসা আবেদন করে কনস্যুলার সেবা পেতে সময় লাগছে অনেকের।
আন্দোলনকারী অপর একজন বলেন, একই অবস্থা নেপালেরও। দেশটির দূতাবাস ভিসা আবেদনকারীদের জন্য বিভিন্ন সময় কারণ ছাড়াই অফলোড করে। এতে অনেকেই সে দেশে থাকা ইউরোপীয় দূতাবাসের ভিসা আবেদনে ব্যর্থ হয়। আবার উল্লেখিত স্থানগুলোতে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময়, ভ্রমণ ব্যয়, হোটেল খরচ এবং আনুষঙ্গিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে ভিসা আবেদনকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বক্তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চাইলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। আমরা চাই দেশের টাকা দেশে থাকুক। তারা চাইলে দেশে এসব দেশের মিশন স্থাপন করতে পারেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপগামী ভিসা প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব মেহেদী হাসান আশিক, যুগ্ম আহ্বায়ক সামস মান্না, মীর মুরাদসহ অনেকে।
আরটিভি/এএইচ
মালামালের সঙ্গে ফুটফুটে শিশুটিকেও নিয়ে গেছে ডাকাতরা
রাজধানীর একটি বাসায় লুটপাট করে মালামালের সঙ্গে একটি শিশুকেও নিয়ে গেছে ডাকাত দল।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে আজিমপুরের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওই বাসার সাবলেটে ভাড়া থাকা এক নারী বহিরাগত কয়েকজনকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, শিশুটির মা ফারজানা আক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি করেন। তার স্বামী বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তারা আজিমপুরের লালবাগ টাওয়ারের পাশের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই বাসার সাবলেট থাকা নারীর সঙ্গে বিবাদে জড়ান ফারজানা। এরপর ওই নারী বহিরাগত কয়েকজনকে নিয়ে এসে ফারজানাকে চড়-থাপ্পড় দেন। পরে তারা বাসার মালামাল নিয়ে যান। মালামালের সঙ্গে দুর্বৃত্তরা ফারজানার শিশু সন্তানকেও নিয়ে যান।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি জসীম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সিসিটিভির ফুটেজে ওই বাসায় ৩ জনকে আসতে দেখা গেছে। তবে শিশুকে নিয়ে গেছে কিনা, তা দেখা যায়নি। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় পুলিশের একাধিক দল ওই ডাকাতদের ধরতে কাজ করছেন। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফারজানার এক সহকর্মী এ ঘটনায় ফুটফুটে শিশুটির ছবি দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আজ শুক্রবার আজিমপুর মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার, লালবাগ টাওয়ারের পাশের গলি থেকে আমার অফিস কলিগ ফারজানার বাসায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাত (একজন মহিলা আর দুজন পুরুষ) জিনিসপত্র ও একমাত্র বাচ্চাটি নিয়ে গেছে।’
আরটিভি/এসএপি/এআর
ছিনিয়ে নেওয়া শিশু মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার
রাজধানীর আজিমপুরে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টায় গণমাধ্যমে পাঠানো খুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ওই শিশুকে আজিমপুরের একটি বাসা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় একই বাসার সাবলেটে থাকা নারী ভাড়াটিয়া। বহিরাগত কয়েকজনকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটান তিনি।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, শিশুটির মা ফারজানা আক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি করেন। তার স্বামী বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তারা আজিমপুরের লালবাগ টাওয়ারের পাশের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই বাসার সাবলেট থাকা নারীর সঙ্গে বিবাদে জড়ান ফারজানা। এরপর ওই নারী বহিরাগত দুজন পুরুষ ব্যক্তিকে নিয়ে এসে ফারজানাকে চড়-থাপ্পড় দেন। পরে তারা বাসার মালামাল নিয়ে যান। সঙ্গে দুর্বৃত্তরা ফারজানার শিশু সন্তানকেও ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি জসীম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডাকাতির সঙ্গে শিশু অপহরণের কারণ জানাল র্যাব
ঢাকার আজিমপুরের একটি বাসায় শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ডাকাতির সময় অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিয়েছে র্যাব। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
র্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেছেন, মুক্তিপণের জন্যই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত ফাতেমা আক্তার শাপলা নামে এক নারীকে ঘটনার দিন মধ্যরাতে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত আরও ৪ জনকে ধরার চেষ্টা চলছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
এর আগের দিন শুক্রবার আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় ঢুকে প্রায় দেড় লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা। শুধু মালামাল নিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি তারা, নিয়ে যায় সেই বাসার আট মাসের শিশু জাইফাকেও।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় ওই নারী নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। অপহরণের ১ সপ্তাহ আগে শিশু জাইফার মায়ের সঙ্গে অফিসে যাতায়াত করার সময় গ্রেপ্তারকৃত শাপলার পরিচয় হয়। এ সূত্র ধরে শিশু জাইফার মায়ের কাছে সাবলেট ভাড়া নেন শাপলা। বাচ্চাটিকে অপহরণ করে এর মাধ্যমে টাকা নেওয়াই মূল উদ্দেশ্য ছিল তার।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে লালবাগ থানার আজিমপুরের মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের পাশের একটি বাসায় ডাকাতির সময় আট মাস বয়সী ওই শিশুসন্তানকে নিয়ে গিয়েছিল ডাকাতরা- এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে সারাদেশে আলোড়ন তৈরি হয়। বিশেষ করে সামাজিকমাধ্যমে ওই শিশুটির ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাকে খুঁজে পেতে সহায়তার জন্য অসংখ্য মানুষ তার ছবি ও সংবাদ শেয়ার করায় এটি সব জায়গায় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সামাজিকমাধ্যমের পোস্টগুলোতে এক ধরনের উদ্বেগও লক্ষ্য করা যায়।
আরটিভি/এআর
ডাকাতি শেষে শিশু অপহরণ, ঘটনায় নতুন মোড়
নতুন মোড় নিয়েছে রাজধানীর আজিমপুরে বাসায় ডাকাতি শেষে মায়ের কাছ থেকে শিশু ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা আবু জাফরকে নজরদারিতে রেখেছে র্যাব।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এরই মধ্যে ফাতেমা আক্তার শাপলা নামে এক অপহরণকারী নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশু আরিশা জান্নাত জাইফাকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, অপহরণের ঘটনায় শিশুটির বাবা আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালের ল্যাব সহকারী হিসেবে কর্মরত আবু জাফরকে নজরদারিতে রেখেছেন তারা। স্ত্রীর সঙ্গে তার বনিবনা হয় না। এ কারণে শিশুটিকে তিনি অপহরণ করিয়েছেন কি না, সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার ফাতেমা আক্তার শাপলার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। তিনি মোহাম্মদপুরের আদাবরে নবীনগর হাউজিংয়ে মা-বোনের সঙ্গে থাকতেন। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত শিশুটির মায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন শাপলা। একপর্যায়ে শিশুর মায়ের সঙ্গে সাবলেটে একই বাসায় থাকার পরিকল্পনাও করেন তিনি।
শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়িতে প্রবেশ করেন অপহরণকারী ফাতেমা আক্তার। এ সময় কৌশলে ভুক্তভোগীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়ে তিনজন সহযোগীসহ ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন ফাতেমা। বাড়িতে থাকা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও প্রায় সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করেন তারা। লুটপাট শেষে শিশু আরিশা জান্নাতকে অপহরণ করে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ে রাখেন। সেখান থেকে শুক্রবার রাতে র্যাব শিশুটিকে উদ্ধার করে।
আরটিভি/এসএপি-টি