শত্রু মোকাবিলায় প্রস্তুত আমাদের সেনাবাহিনী: সাবেক সেনা কর্মকর্তা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত আছেন দেশের অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা। ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচার অবিলম্বে বন্ধ দেখতে চায় বাংলাদেশ।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) মহাখালী রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এ সভা আয়োজন করে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ।
সভায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মানিক দেওয়ান বলেছেন, দেশকে রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষিত সব সৈনিক প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন যুদ্ধ উপযোগী এবং যেকোনো শত্রু মোকাবিলায় প্রস্তুত। বর্তমান সেনাবাহিনী এখন ১৯৭১ সালের মতো নয় বলে মনে রাখতে বলেন সবাইকে।
সংগঠনটির আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আহসান উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। দেশটি মনে করেছে বিগত সময়ে যে সব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে এসেছে এখনও পাবে।
ভারতকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা তাদের কাছে এখন আর প্রভুত্ব নয়, বন্ধুত্ব চায়।
সভায় অবসরপ্রাপ্ত অন্যান্য সেনা কর্মকর্তারা বলেন, ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্র নীতি নয়, হতে হবে সমতার ভিত্তিতে। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারকে হাসিনার করা ভারতের সাথে সকল চুক্তি প্রকাশ করতে হবে। আমরা ঐক্যের উদ্যোগ নিয়েছি তা আজ এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হবে তা দেশাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দিতে চাই। আমরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার শপথ নিয়েছিলাম। আমরা সেই শপথ থেকে বিচ্যুত হইনি। আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে।
সমাবেশ শেষে তাদের একটি বিক্ষোভ মিছিল জাহাঙ্গীর গেট সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও রাওয়া কমপ্লেক্স মাঠে এসে শেষ হয়।
আরটিভি/এএইচ/এস
মন্তব্য করুন