পলাতক সাবেক ওসি শাহ আলমকে গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া গণহত্যার আসামি সাবেক ওসি শাহ আলমের গ্রেপ্তারের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছে উত্তরার ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এ আল্টিমেটাম দেন।
তিনি বলেন, এটা কি বাংলা সিনেমা? এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। গণহত্যার অন্যতম নায়ক এভাবে থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া, এটা জনতা সহ্য করবে না। আমাদের কাছে তথ্য আছে তাকে লকাপে না রেখে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহিবুল্লাহ সাহেবের রুমে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই শাহ আলম পালিয়ে যায়। তাকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুনঃগ্রেপ্তার করতে হবে।
এর আগে, এদিন জুমার নামাজের পরে উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে থেকে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। যেখানে আরও বক্তব্য দেন উত্তরা গণহত্যা নিয়ে কাজ করা অন্যতম সংগঠন জুলাই রিভোলিউশনারি অ্যালায়েন্সের মুখপাত্র সালেহ মাহমুদ রায়হান, প্রকৌশলী তালহা জুবায়েরসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ শেষে আজমপুর বাস স্ট্যান্ডে তারা সমাবেশ করে। সেখানে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রওনক জাহান এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, যারা তিন দিনের মধ্যে এটার তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে গ্রেপ্তারের জন্য রেডি অ্যালার্ট জারি করেছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দায়িত্বরত এএসআই সাজ্জাদ হোসেনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে ডিএমপি পুলিশের একটি দল বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস এলাকা থেকে শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে। পরে কুষ্টিয়া থেকে তাকে উত্তরা পূর্ব থানায় এনে হেফাজতে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান।
আরটিভি/আরএ
মন্তব্য করুন