একদিনের কর্মবিরতিতে কমলাপুর রেলস্টেশনের ক্ষতির পরিমাণ কত
রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে মঙ্গলবার ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় কমলাপুর স্টেশনের এক কোটি ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন। এ ছাড়া কোচ ব্যালান্সের কারণে জয়ন্তিকা ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের আজকের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কমলাপুর রেলস্টেশনে নিজ কার্যালয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের স্টেশন থেকে সাধারণত প্রতিদিন এক কোটি ১৫ লাখ থেকে এক কোটি ২০ লাখ টাকা আয় হয়। গতকাল বন্ধ থাকায় এই ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে, বুধবার ভোর সাড়ে ৬টায় রাজশাহীগামী ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রার মধ্য দিয়ে সচল হয় কমলাপুর স্টেশনের ট্রেনের চাকা। এরপর কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে সব ট্রেন।
ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি জানিয়েছেন রেলপথের যাত্রীরা। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় স্টেশন ছিল বেশ ফাঁকা, যাত্রীচাপ খুব একটা নেই। আরামদায়ক যাত্রা হওয়ায় খুশি যাত্রীরা। তবে প্রতিটি ট্রেনই স্টেশন ছেড়েছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে। কিছুটা বিলম্ব হলেও কর্ম বিরতি প্রত্যাহারে খুশি যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে শ্রমিক নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আরটিভি/এআর/এস
মন্তব্য করুন