ঢাকা

বিআরটিসির বাস ডিপোতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ , ১১:৩৫ এএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

বিআরটিসি মতিঝিল বাস ডিপোতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ঢাকা মেইলের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মো. ইলিয়াস ও শরিফুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এমআরএ)।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ মার্চ) বিআরটিসি মতিঝিল বাস ডিপোর সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। মানববন্ধন থেকে সংগঠনটির নেতারা পেশাগত নিরাপত্তাসহ ৪টি দাবি জানান।

মানববন্ধনে ঢাকা মেইলের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বোরহান উদ্দিন বলেন, আপনারা সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ ভাববেন না এবং দুর্বলও ভাববেন না। আমরা বানের জলে ভেসে আসিনি যে, আপনারা যখন তখন মারবেন আর নাজেহাল করবেন। আমরা বিশ্বাস করি, বিআরটিসির চেয়ারম্যান অপরাধে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবেন। 

বিজ্ঞাপন

মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অমৃত মলঙ্গী বলেন, আমার মনে হচ্ছে এর ভেতরে যে কর্মকর্তারা বসেন তাদের মনে কোনো একটা ভয় রয়েছে। এই ভয়টা আসলে কী? কেন তারা সাংবাদিকদের এতো ভয় পেয়েছেন? তারা কেন সাংবাদিকদের মোবাইলটাকে এত ভয় পেয়েছেন; আমরা সেটি জানতে চাই এবং ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ সময় সংগঠনটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম চার দফা দাবি উত্থাপন করে বলেন, সেদিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গণমাধ্যমকে দিতে হবে। হামলায় জড়িত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে। আহত সাংবাদিকদের সকল ধরনের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

এমআরএ’র দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাইমুন মুবিন পল্লবসহ সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিআরটিসির প্রস্তুতি সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা মেইলের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মো. ইলিয়াস ও শরিফুল ইসলামকে বিআরটিসির মতিঝিল ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক মেহেদীর সামনে মারধর করা হয়। মারধরে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। এ সময় তাদের দু’জনের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধরের ভিডিও ডিলিট করা হয়। এ ছাড়া কেড়ে নেওয়া হয় তাদের অফিসের আইডি কার্ড, মানিব্যাগ, মাইক্রোফোন ও পাওয়ার ব্যাংক। 

আরটিভি/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |