রাজধানীতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কদমতলীর স্মৃতিধারা ৮নং গলি ১৮৬৯ রাহেলা মঞ্জিল সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরের নাম নাঈম (১৮)। পেশায় তিনি সিএনজি চালক ছিলেন এবং স্মৃতিধারা ৬নং গলিতে ভাড়া বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার সদর থানার জনকাঠি গ্রামে ও পিতার নাম জাহাঙ্গীর হাওলাদার।
স্মৃতিধারা এলাকার বাসিন্দারা জানান, সকাল আনুমানিক ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার দিকে নাঈমকে স্মৃতিধারা ৮নং গলির পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে নিতে নিতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, তাদের এলাকায় মাদকের ব্যাপক ছড়াছড়ি। সেই সঙ্গে কিশোরগ্যাংয়ের উৎপাত। থানা পুলিশ আগের মতো কাজ না করার কারণে কদমতলী থানা এলাকায় খুন, চুরি, ছিনতাই, মারামারিসহ অপরাধ প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিহত নাঈমের মা নাজমা বেগম বলেন, আজ সকাল ৯টায় আমার দুই ছেলে নাঈম ও সাঈমকে বাসায় রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আমি কাজ করতে যাই। তখন তারা ঘুমিয়ে ছিল। সকাল সাড়ে ১০টায় আমাকে একটি ছেলে খবর দিয়ে বলে আন্টি আপনার ছেলেকে স্মৃতিধারা ৮নং গলিতে কয়েকটি ছেলে মারতেছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমি ছেলেকে পাইনি। রাস্তায় শুধু রক্ত দেখি। পরে জানতে পারি, তাকে ওখানকার লোকজন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছে।
বিলাপ করতে করতে তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে কখন বাসায় আসবে। সেই সকালে হাসপাতালে গেছে এখনও আসে না কেন?
নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে দেখি আমার ছেলে নাঈম মারা গেছে। তার লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্যামপুর জোনের এসি শরাফত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরটিভি/আইএম