বাউফলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২
পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছে কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রুম্মান তালুকদার (৩০) ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য রিয়াদ হোসেন (২৫)।
এছাড়া আহত তিনজনের মধ্যে দিপন তালুকদার গুরতর জখম করেছে ।
এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার রাত সাড়ে আটটায় কেবপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কলেজ অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন পিকু এবং সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর সঙ্গে দলীয় কোন্দল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুযুদ্ধ চলে আসছে।
এ ঘটনার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশবপুর বাজারে একটি সভা ডাকাকে কেন্দ্র করে সভাপতি সালাউদ্দিন পিকু ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুর সমর্থকদের মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই দিন মহিউদ্দিন লাভলুর সমর্থক রফিককে বেদম মারধর করে সভাপতি সালাউদ্দিন পিকুর সমর্থকরা।
এ ঘটনা নিয়ে ওই দিন দুপুরে রফিকের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে কলেজ ভাংচুর ও পিটিয়ে কুপিয়ে ১০ জনকে আহত করে। এ ঘটনায় সালাউদ্দিন পিকুর সমর্থক ইব্রাহিম বাদী হয়ে রফিকসহ প্রায় ২০ জনকে দায়ী করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ।
এ মামলার জের ধরে আজ রোববার রাত সাড়ে আটটার সময় কেশবুপুর বাজারে সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলু এবং সভাপতি সালাউদ্দিন পিকুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুইজন নিহত ও তিনজন আহত হয়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, বাউফলের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে এবং কয়েকজন আহতও হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের আটকের অভিযান চলছে।
জেবি
মন্তব্য করুন