করোনা চিকিৎসায় অস্বাভাবিক বিল রাখছে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলো (ভিডিও)
করোনা চিকিৎসায় রীতিমতো অস্বাভাবিক বিল আদায় করছে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলো। ফলে বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে রোগীরা। চিকিৎসক নেতারা বলছেন, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে অতিরিক্ত বিল আদায়কারীদের বিরুদ্ধে, কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দিলেন স্বাস্থ্য পরিচালক।
করোনার শুরুতে চিকিৎসা দিতে চায়নি চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলো। প্রশাসনের চাপাচাপিতে চিকিৎসা দিলেও কয়েকটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে অতিরিক্ত বিল নেয়ার অভিযোগ।
গেল ১৭ জুলাই চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে মারা যান, ফটিকছড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম নামে এক আমেরিকা প্রবাসী। ১৩ দিনের চিকিৎসা বাবদ তার স্বজনদেরকে প্রায় ৭ লাখ টাকার বিল ধরিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্বজনরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, অক্সিজেন বিল, কেবিন বিলসহ সার্ভিস চার্জ ধরা হয়েছে অস্বাভাবিক হারে। দুই জায়গায় অক্সিজেন বিল দুই লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। তারা একটি ভৌতিক বিল আমাদের ধরিয়ে দিয়েছে।
এছাড়া ডেল্টা, ন্যাশনাল, ম্যাক্স, মেট্রোপলিটনসহ কয়েকটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ থাকলেও তা অস্বিকার করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পার্ক ভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম বলেন, আইসিউ এর বেড চার্জ শুধু আমদের এখানে নয়, সব হাসপাতালে একই চার্জ নেয়া হয়। আমাদের এখানে চার্জ বেশি নেয়ার কোনও প্রশ্নই উঠে না। রোগীকে যদি ১৪ দিন আইসিউতে রাখতে হয় অন্য হাসপাতালে যা বিল আসে আমরা সেই বিলই নিয়েছি। চাইলে তারা যাচাই করতে পারে, অন্য হাসপাতাল থেকে।
স্বাস্থ্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে মনিটরিং করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা। আর বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রমাণ পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি করলেন, স্বাস্থ্য পরিচালক।
স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, একটি চক্র আছে যারা সাধারণ মানুষদের ভোগান্তির কারণ। দশগুণ বেশি বিল নিয়ে মানুষের ওপর জুলুম করছে চক্রটি।
চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, হাসপাতালগুলো প্রতি ঘণ্টায় কত লিটার অক্সিজেন খরচ হচ্ছে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। যদি দেখি যে এইরকম ভৌতিক বিল বা অতিরিক্ত বিল দেয়া হচ্ছে তবে স্বাস্থ্য বিভাগ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।
এসএ/এসএস
মন্তব্য করুন