ঢাকাশুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সিনহা হত্যায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির পরিবারের অপহরণ মামলা

টেকনাফ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট ২০২০ , ০৯:৫৪ পিএম


loading/img
টেকনাফ মডেল থানা

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যায় সন্দেহজনক গ্রেপ্তার করা তিন জনের মধ্যে নুরুল আমিনের পরিবারের পক্ষে মা বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলা নথিভুক্তের আগে র‍্যাবের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতেন না বলে দাবী করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফয়সল।

বিজ্ঞাপন

ওসি জানান, খালেদা বেগম মামলার এজাহারে অভিযোগ করেছিলেন তার ছেলে নুরুল আমিনকে কিছু লোক একটি সাদা মাইক্রোবাসযোগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। সাথে আয়াছ এবং নাজিমকেও নিয়ে গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. নুরুল আমিন, মো. আয়াছ ও নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র‍্যাব। তাদের কক্সবাজার আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। র‍্যাব-১৫ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।      

বিজ্ঞাপন

সিনহা নিহতের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মেজর সিনহা টেকনাফের মারিশবনিয়ায় তথ্যচিত্রের শুটিং শেষে ফেরার পথে তাদের ডাকাত সন্দেহে পুলিশকে প্রথম খবর দেয় মো. আমিন। আমিন, আয়াছ ও আজিমকে মেজর সিনহা হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে টেকনাফ থানায় এজাহারে পুলিশ উল্লেখ করেছিল। ওই মামলার তদন্তভার গতকাল সোমবার আদালত র‍্যাবের কাছে ন্যস্ত করে। 

টেকনাফের মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়ায় ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হন। ভ্রমণ বিষয়ক একটি তথ্য চিত্রের কাজ শেষে সিনহা ও তার সহকর্মী সিফাত মেরিনড্রাইভ রোড দিয়ে হিমছড়িতে তাদের রিসোর্টে ফিরছিলেন। মেজর সিনহার ব্যক্তিগত গাড়িতেই তারা দুজন মেরিনড্রাইভ দিয়ে টেকনাফ থেকে হিমছড়ির দিকে আসছিলেন। সিনহা নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাহারছড়ার শামলাপুরে পুলিশ চেকপোস্টে মেজর সিনাকে গুলি করে ইন্সপেক্টর লয়হীনতা আলী। এই সময় সিফাতকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় সিফাতকে প্রধান আসামি করে ওই রাতেই এসআই নন্দন দুলাল রক্ষিত বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। 

পরে মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় তার বোন শার-মিন শাহরিয়ার বাদী হয়ে কক্সবাজারের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। ইন্সপেক্টর লয়হীনতা আলীকে প্রধান করে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয় ওই মামলায়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন:

জিএ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |