হিলিতে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম (ভিডিও)
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। একটি চিঠির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ভারত কাস্টমস। এরপর থেকে বাড়তে শুরু করেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। এক দিনের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরের খুচরা ও পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি প্রকারভেদে বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। যে পেঁয়াজগুলো গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
পেঁয়াজরে দাম বাড়ার কারণ জানতে চাই আমদানিকারকরা সাংবাদিকের কথা বলতে রাজি না হলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা আমদানিকারকদের নিকট থেকে বেশি দামে কিনছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। এতে করে সাধারন ক্রেতাদের সঙ্গে অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ হতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কোন কিছু করার নেই।
আড়তগুলোতে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন পাইকারের বলেন, আমরা পেঁয়াজ নিতে আসে অনেক বিপাকে পরে গেছি। কারণ পেঁয়াজের দাম অনেকটাই বেশি। যে পরিমাণ টাকা আনছি এতে করে অল্প পেঁয়াজ কিনতে পারবো। আমদানি কারকদের আড়তগুলো পেঁয়াজ ক্রয়ের পর কোন প্রকার রশিদ দেওয়া হচ্ছে না। রশিদ চাইলে তারা রাগান্বিত হচ্ছে এমনকি পেঁয়াজ না দেওয়ারও কথা বলছেন। আমাদের নিরুপায় হয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।
খুচরা পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, গতকাল পেঁয়াজ কিনেছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। আজ সেই একই পেঁয়াজের দাম চাচ্ছে ৭৫ টাকা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এমনটা বাড়বে কোন দিন ভাবতেও পারিনি। আমাদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করার জন্য।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, আমরা দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি করেছি। ভারতের অভ্যন্তরে প্রায় ২ শতাধিক পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক দাড়িয়ে আছে। সেই পেঁয়াজগুলো যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতো তবে পেঁয়াজের দাম এতোটা বৃদ্ধি পেত না।
তিনি আরও জানান, হিলি স্থলবন্দরের আমদানি কারকরা ইতোমধ্যে পাকিস্তান, মায়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি করেছে। সেইসব পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আবারও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে।
এসএ/জিএ
মন্তব্য করুন