নোয়াখালীতে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের দুই মামলায় আসামি যারা
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা ও নির্যাতনের ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে অমানবিক নির্যাতন করা হয় এবং তার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন। দুটি মামলাতেই আসামিদের নাম, ঠিকানা একই এবং এজাহারনামীয় তাদের সংখ্যাও ৯ জন। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জন ঘটনায় জড়িত ছিল বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত রোববার দিনগত রাত ১২টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় করা দুটি মামলাতেই প্রথম আসামি বাদল (২২)। এছাড়াও মামলা দুটির অন্য আসামিরা হলো- মো. রহিম (২০), আবুল কালাম (২২), ইস্রাফিল হোসেন ওরফে মিয়া (২২), সাজু (২১), সামছুউদ্দিন ওরফে সুমন (৩৯), আব্দুর রব ওরফে চৌধুরী মিয়া ওরফে লম্বা চৌধুরী (৪৮), আরিফ (১৮) ও রহমত উল্যা (৪১)।
আরও পড়ুনঃ
গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ
বাসায় কেউ না থাকায় শিশুকে একাধিকবার ছাদে নিয়ে ধর্ষণ
ডাকাতি করতে গিয়ে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ
নারায়ণগঞ্জে ২ শিক্ষার্থী আটকে রেখে ধর্ষণ
পর্ন মুভি দেখে, কিন্তু ভদ্রতার সীমারেখা
নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
এদের মধ্যে এজাহারনামীয় প্রধান আসামি বাদল, রহমত উল্যা ও রহিম গ্রেপ্তার হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, প্রায় মাসখানেক আগে দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে ভিডিওচিত্র ধারণ করে বখাটে একদল যুবক। গতকাল রোববার দুপুরের দিকে সেই নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের পর ভাইরাল হয়। তাতে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। গত ৩২ দিন অভিযুক্ত স্থানীয় বখাটেরা গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখলেও ঘটনা থেকে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে!
স্থানীয়রা বলছে, গত মাসের (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সারা দেশে ধর্ষণের প্রতিবাদে আজ সোমবার রাজধানীর উত্তরা ও শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ হয়। শাহবাগে বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর মোর্চা- বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। ধর্ষণ বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাদের। এতে যোগ দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের নেতারা। ক্রমশই সেখানে মানুষজন বাড়ছে।
এদিকে ধর্ষণের শিকার হওয়া থেকে বাঁচতে মা-বোনদের চাকু নিয়ে ঘুরতে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক বিক্ষোভ থেকে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে তার দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কেএফ/পি
মন্তব্য করুন