ভিডিও ধারণ করে দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর সন্তান প্রসব
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় কোচিং সেন্টারে আটকে রেখে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারেকুর রহমান নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ নম্বর আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগের বিস্তারিত শুনানির পর মামলাটি আমলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার আদেশ দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক তারেকুর রহমান চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সম্পর্কে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর খালাতো ভাই।
আরও পড়ুন:
বখাটেদের প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না ওই নারী, তাই ভিডিও ছেড়ে দেয়
ধর্ষণ বিরোধী বিক্ষোভ: শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে বামজোটের ধস্তাধস্তি
গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির ভিডিও সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছুটির পর কোচিং সেন্টারে আটকে রেখে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক তারেকুর। এ সময় ধর্ষণের ছবি ধারণ করে রাখে সে। পরে এসব ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তারেকুর। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
পরে স্থানীয়রা সালিশের মাধ্যমে ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা করে। বিচারে শিক্ষক তারেকুর সন্তান প্রসবের পরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সম্প্রতি ভুক্তভোগী সন্তান প্রসব করলে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় তারেকুর।
পরে গতকাল রোববার ভুক্তভোগীর বাবা তারেকুরসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন, তারেকুর রহমানের ভাই তৌফিকুর রহমান, তৌহিদুর রহমান ও রমজান আলী ভূঁইয়া।
জেবি
মন্তব্য করুন