ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাত
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এক স্কুলছাত্রীর ঘাড়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে মতিউর রহমান নামের এক মাদরাসাছাত্র।
এ ঘটনা ২২ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামলায় নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। তাই বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার তিনি মেয়েকে নিয়ে টাঙ্গাইল আদালতে এসেছেন মামলা দায়ের করতে।
তিনি জানান, তার মেয়ে স্কুলে যাওয়া আসার সময় পাশের বাড়ির আব্দুস সালামের ছেলে মতিউর রহমান তাকে উত্ত্যক্ত করতো। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মতিউর তার মেয়ের ঘরে ঢুকে কুপ্রস্তাব দেয় ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে মতিউর তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে মেয়ের ঘাড়ে আঘাত করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে মতিউর পালিয়ে যায়। পরে মেয়েকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। জেনারেল হাসপাতালে তিন দিন ভর্তি রেখে মেয়েটিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:
খালাস চেয়ে হাইকোর্টে মিন্নির আবেদন
আগেও ওই গৃহবধূকে দুই দফা ধর্ষণ করেছিল দেলোয়ার
ধর্ষণবিরোধী মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে নেয়ার পর তার আঘাতের স্থানে ২৫টি সেলাই করা হয়েছে। তিনি নিজে বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের কাগজটি রেখে দিলেও পুলিশ আজ পর্যন্তও মামলা রেকর্ড করেনি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে আদালতে এসেছেন মামলা করতে। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়েকে মতিউর উত্ত্যক্ত করতো। এ কথা মতিউরের বাবাকে একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি মতিউরকে শাসন করেননি। উল্টো মতিউরের সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ আরটিভি নিউজকে জানান, তার কাছে অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি। আসলে মামলা রেকর্ড করতেন।
জেবি/এম
মন্তব্য করুন