হাতিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় হরনী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে ২৫ বছর বয়সী ফুলবানু (ছদ্মনাম) নামের এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার ইউছুফ ডুবাই নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শুক্রবার দুপুরে হাতিয়া থানায় ধর্ষণ আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ এই মামলায় ইউছুফ ডুবাইকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, গত পাঁচমাস আগে প্রতিদিনের মতো আমি বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুমন্ত অবস্থায় একই গ্রামের আনিস মিয়ার ছেলে ইউছুফ ডুবাই (৪০) অস্ত্র হাতে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণ করে। কাউকে এ ঘটনা জানালে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার পরদিন সকালে সে ভদ্রলোকের মতো আমার বাড়িতে এসে বলে সে ভুল করেছে। আমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেবে বলে আশ্বাস দেয়। এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর থেকে ইউছুফ ডুবাই একটানা চারমাস স্বামী-স্ত্রীর মতো শারীরিক সম্পর্ক করে আমার সাথে।
আরও পড়ুন:
হেল্পারের কাছে আশ্রয় চেয়ে বাসের ভেতর ধর্ষণের শিকার নারী
টাকা ধার আনতে গিয়ে ৭ বন্ধুর ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ধর্ষণের কথা লুকিয়ে রাখতে পারলেন না বিধবা নারী
এক পর্যায়ে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি তাকে জানালে সে কৌশলে নোয়াখালী জেলা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে আমাকে অ্যাবরশন করিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় সামাজিকভাবে সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। তখন অভিযুক্ত ইউছুফ ডুবাই ভুল স্বীকার করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। সামাজিকভাবে সিদ্ধান্ত মানার পর সে ক্ষমতার দাপটে আমাকে আর বিয়ে করছে না।
ধর্ষিতার বাবা জানান, আমি গরীব মানুষ। জায়গা জমি না থাকায় মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে পাশের চর ঘাসিয়ায় চাষাবাদ করতে যাই। এ সুযোগে ইউছুফ ডুবাই আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, ভুক্তভোগী মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে হাতিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ধর্ষককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পি
মন্তব্য করুন