ঝগড়া ছিল পরিবারের সঙ্গে, শিশুকে নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করলো আত্মীয়রা
পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জের ধরে মাগুরা সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামে মাহিদ হোসেন (৭) নামে শিশুকে নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে নিকটাত্মীয়রা। মাহিদ বারাশিয়া গ্রামের মুজিবুর রহমান মোল্যার ছেলে। সে বারাশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় নিহত মাহিদের চাচাতো ভাই রোহান (১৬) ও রোহানের বাবা আসলাম মোল্লাকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১১ অক্টোবর) নিখোঁজের ৫ দিনপর বারাশিয়া এলাকার নবগঙ্গা নদী থেকে দুপুরে মাহিদের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।
নিহতের বাবা মুজিবুর রহমান জানান, ৩ বছর আগে পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে চাচাতো ভাই আসলাম মোল্যার সাথে বিরোধ হয় মুজিবর রহমানের। এই বিরোধের প্রতিশোধ নিতে আসলাম মোল্লা ও তার ছেলে রোহান পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বুধবার সকালে মাহিদকে স্থানীয় নবগঙ্গা নদীতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি তালের ডোঙ্গার সাথে হাত বেধে মাহিদকে নদীর পানিতে ডুবিয়ে দেয়।
এদিকে মাহিদকে না পেয়ে ওই দিন রাতে মাগুরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন মুজিবুর রহমান। পরদিন মাহিদের নানা দুলাল হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রোহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় রোহান মাহিদ হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে এবং ঘটনার বর্ণনা দেয়। যার সূত্র ধরে মাগুরা পুলিশ নবগঙ্গা নদীতে খুলনা থেকে আসা দমকল বাহিনীর ডুবুরিদের মাধ্যমে দুই দিনের তল্লাশি শেষে রবিবার দুপুর ২ টায় মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুনঃ
কলকাতায় স্পা’র আড়ালে দেহ ব্যবসা, অভিনেতাসহ গ্রেপ্তার ১৬
নোয়াখালীতে নির্যাতনের শিকার সেই নারীর ঘর থেকে আলামত সংগ্রহ
নয় হাজার টাকা ঘুষ: তিতাসের ২ কর্মকর্তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
মাগুরা সদর থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, এ ঘটনায় রোহানের বাবা আসলাম মোল্লাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত মাহিদের বাবা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জিএম/এম
মন্তব্য করুন