ধর্ষণের ১৯ বছর পর বিচার পেলো পরিবার
কক্সবাজারে ১৯ বছর পর ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২০০১ সালে দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলাটি গতকাল মঙ্গলবার এ রায় হয়েছে। এতে প্রধান অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর বিচারক মোসলেহ্ উদ্দিন। একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।মামলায় সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নুরুল হুদা (৪২) কক্সবাজার সদর উপজেলার মধ্যম নাপিতখালী এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে পিপি অ্যাডভোকেট বদিউল আলম সিকদার বলেন, মামলায় বাদী, ভিকটিম, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ছয় জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত। সাক্ষীদের সাক্ষ্য আসামি নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহারের বিষয়ে পিপি জানান, ২০০১ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে বাদীর আঙ্গিনা থেকে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করে আসামিরা। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নুরুল হুদাকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই সময়ে আদালত অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে কক্সবাজার সদর থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে কক্সবাজার সদর থানা। সদর থানা পুলিশের এসআই সোলাইমান চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করে ২০০১ সালের ১৭ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে চার্জ গঠন করে ছয় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে ও যুক্তিতর্ক শেষে গতকাল মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় দেয়।
জেবি
মন্তব্য করুন