বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে এসে দুইবার ধর্ষণের শিকার তরুণী
ফেনীতে বেড়াতে আসা এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাড়ি রাঙামাটি জেলায়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হবে। সেইসঙ্গে আদালতে তরুণীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গতকাল সোমবার রাতে তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
গ্রেপ্তার এক আসামিকে হাতেনাতে ও অপরজনকে ফেনী শহরের অদূরে দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রিকশাচালক লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার জগবন্ধু গ্রামের মো. ছাদেকের ছেলে মো. রিয়াজ (২৬) ও সেলুন কর্মচারী চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের সমীর চন্দ্র শীলের ছেলে ও ছোটন চন্দ্র শীল (২২)।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, গেলো রোববার রাতে খাগড়াছড়ি থেকে ওই তরুণী বান্ধবীর বাসায় বেড়ানোর জন্য ফেনীতে আসেন।
ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় বাস থেকে নামেন। পরে রিকশায় করে ফেনী শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন ওই তরুণী।
রিকশাচালক রিয়াদ ওই তরুণীকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে শহরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় নির্জন এক ডেকোরেশন দোকানের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর তরুণীকে সালাহউদ্দিন মোড় সংলগ্ন কাঠবেল্লা এলাকায় নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান।
রাত সাড়ে তিনটার দিকে ছোটন শীল নামে এক সেলুন কর্মচারী ওই তরুণীকে বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ফতেহপুর সড়কের একটি দোকানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ভোর চারটার দিকে তাদের গতিবিধি সন্দেহ হলে টহলরত পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তরুণী পুলিশকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। পরে ছোটন শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে মেয়েটির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অপর ধর্ষক রিকশাচালক রিয়াদকে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালায়।
আরও পড়ুনঃ
ভারত থেকে অস্ত্র এনে সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি, আটক এক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে প্রভাবশালীরা
গতকাল সোমবার আদিবাসী ওই তরুণী দুইজনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছেন। এরপর সোমবার দিনগত রাতে দেওয়ানগঞ্জের একটি মেস থেকে রিকশাচালক রিয়াজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে তরুণী তার বান্ধবী বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় আবুল খায়ের ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে বললেও সেখানে তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি।
জেবি
মন্তব্য করুন