প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় প্রবাসীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রী, এমপি-মন্ত্রীসহ বর্তমান সরকারকে জালিম সরকারসহ বিভিন্ন কটূক্তিমূলক বক্তব্য সম্বলিত লিফলেট প্রচার করায় সৌদি প্রবাসী ফয়সাল আহমেদ শরিফকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশনে (পিবিআই) নির্দেশ প্রদান করেন পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুব্রত মল্লিক শুভ।
গেলো মঙ্গলবার জনস্বার্থে এবং বহির্বিশ্বে রাষ্ট্রের সুনাম নষ্ট হওয়ায় দুপুরে পাথরঘাটা পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম কাকন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের নয়া মিয়া হাওলাদারের ছেলে মো. ইমরান হোসাইন, সৈয়দ আহমেদ শরিফের ছেলে মো. জিয়া শরীফ ও মাসুম শরীফ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফয়সাল আহমেদ শরিফ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি থাকেন। সেখানে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী এবং রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিচারের নামে প্রহসন তামাশা ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই নয়, যেই দেশে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে, বাংলাদেশ থেকে যখন ভোট চোর এমপি মন্ত্রী ও চেয়ারম্যান মেম্বাররা মক্কা-মদিনায় যায় হজ পালন করতে, ছাত্রলীগের হাতে শিশু থেকে বৃদ্ধা নারী পর্যন্ত কেউই নিরাপদ নয়, যেখানেই ধর্ষণ সেখানেই আওয়ামী অঙ্গসংগঠন, অবৈধ সরকার কিভাবে অপরাধীদের বিচার করবে। সেতো নিজেই অপরাধী। এছাড়াও জঙ্গি সংগঠনের অর্থ সহায়তাও করে ফয়সাল শরিফ। তাছাড়া অন্য আসামিদের দ্বারা দেশে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশেও প্রচার করাচ্ছেন প্রধান আসামি ফয়সাল আহমেদ শরিফ।
মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন, ফয়সাল শরিফ বিদেশে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের একজন নাগরিক হয়েও দেশের সরকার, সরকার প্রধান, এমপি-মন্ত্রীদের নিয়ে কটূক্তি করে যাচ্ছেন। যাতে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আমি দেশের স্বার্থে মামলাটি করেছি। ইতোমধ্যেই আমাকে বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
আরও পড়ুনঃ
কিশোরী ময়নাকে ১২ বছর পর দুই সন্তানসহ পাওয়া গেলো
বাদীপক্ষের আইনজীবী এপিপি মো. জাবির হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, আসামিরা যা করেছে তাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। সৌদি প্রবাসী আসামিকে দেশে এনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের দৃস্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কামাল হোসেন বলেন, মামলাটি আদালত অধিকতর পর্যালোচনা শেষে পিবিআইতে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
জেবি
মন্তব্য করুন