ছিনতাইকারীদের হাতে যুবক খুন, মূল আসামি গ্রেপ্তার
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ছিনতাইকারীদের হাতে যুবক খুনের ঘটনায় অন্যতম প্রধান আসামি আশিক মিয়াকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আশিক মিয়া কোম্পানীগঞ্জ থানার কোম্পানীগঞ্জ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাত নয়টার দিকে আসামির নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানাধীন আলীনগর গ্রামের শাহানুর আলমের ছেলে জাকারিয়া থানা বাজার হতে পায়ে হেঁটে টুকের বাজার যাওয়ার পথে কোম্পানীগঞ্জ ইসলামপুর কবরস্থান সংলগ্ন রাস্তায় আসা মাত্র মোটরসাইকেলে আসা তিন যুবক তার গতিরোধ করে। এরপর তার পিঠের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে নগদ বিশ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিম জাকারিয়াকে উদ্ধার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পর্যায়ে গত ৩ নভেম্বর ভিকটিম জাকারিয়া মারা যান।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে থানা পুলিশসহ ডিবিকে নির্দেশ প্রধান করে। এর প্রেক্ষিতে সহকারী পুলিশ সুপার গোয়াইনঘাট সার্কেল নজরুল ইসলাম পিপিএম এবং অফিসার ইনচার্জকে এম নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে থানা পুলিশ এবং ডিবির একাধিক টিম আসামিদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে গতকাল রাত নয়টার সময় ঘটনার অন্যতম আসামি জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনায় ভিকটিমের মামা ছগির আহমদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রথমে ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা করে পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুনের ধারা সংযোজনের জন্য আদালতে আবেদন করে। গ্রেপ্তারকৃত আশিক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামি আশিক মিয়াকে আজ শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক লায়লা মেহের বানুর আদালতে হাজির করলে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান জানান, কোম্পানীগঞ্জে ছিনতাইকারীদের হাতে যুবক খুনের ঘটনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
জিএ
মন্তব্য করুন