ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

চলনবিলে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বাউত উৎসব 

আরটিভি প্রতিনিধি, পাবনা, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০ , ০২:০৪ পিএম


loading/img
ছবি সংগৃহীত

পাবনায় চলনবিলে শুরু হয়েছে মাছধরার ঐতিহ্যবাহী বাউত উৎসব। নির্ধারিত দিনে নানা বয়সের হাজারো শৌখিন মৎস্য শিকারীর আনাগোনায় উৎসবমুখর হয়ে উঠছে বিলপাড়ের গ্রামগুলো।

বিজ্ঞাপন

আবহমান বাংলার চিরায়ত এই লোকজ উৎসবের সরকারি স্বীকৃতি চান স্থানীয়রা। কুয়াশাঢাকা ভোরের হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। হেমন্তের কাকডাকা ভোরে পলো, বেসাল, বাদাই জালসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ নিয়ে চলন বিলে ছুটে আসছে নদূর দূরান্তের শৌখিন মৎস্য শিকারিরা। লোকজ রীতিতে হৈ হৈ হল্লায় বিলের জলে মনের আনন্দে চলছে মাছ শিকার। সূচনার ইতিহাস অজানা হলেও চলনবিলাঞ্চলে এমন উৎসব চলছে কয়েকশ বছর ধরে।

দল বেঁধে মাছ ধরার এ আয়োজনে মৎস্য শিকারিদের ডাকা হয় বাউত। তাদের ঘিরেই উৎসবের নামকরণ। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার ভোরের আলো ফুটতেই বিলাঞ্চলের পূর্বনির্ধারিত এলাকায় দলবেঁধে মাছ শিকারে নামেন বাউতেরা। কার্তিক মাসের শেষে শুরু হয়ে বিলে পানি থাকলে তা চলে পৌষ মাস পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

অপরিকল্পিত উন্নয়নে কমেছে চলনবিলের আয়তন ও মাছের উৎপাদন। বিল দখল করে সেচ দিয়ে মাছ ধরে নেয় প্রভাবশালীরা। আগের মতো মাছ না মেলায় ক্রমেই বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাউত উৎসবের।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈকত ইসলাম আরটিভি নিউজকে জানান, চলনবিলের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় উদ্যোগ করে চলনবিলের পরিচিতি পুরো বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারে।

এছাড়া দখল ও দূষণে চলনবিলের পরিধি কমে যাওয়ায় দিন দিন ঐতিহ্য হারাচ্ছে বাউতউৎসব নামের মাছ ধরার এ আনুষ্ঠানিকতা। শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণের পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি স্থানীয়দের।

বিজ্ঞাপন

জেবি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |