দুধের জন্য কান্নারত শিশুটিতো জানে না, মা শুয়ে আছেন লাশঘরে
মাগুরা সদরের হাজিপুর ফুলবাড়ি গ্রামে যৌতুক না পেয়ে আছমা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আছমা সদরের নালিয়াডাঙ্গী গ্রামের হালিম শেখের মেয়ে।
নিহতের মামা এনামুল হক বলেন, প্রায় পনের মাস আগে সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের নূরালী মোল্যার ছেলে মহব্বত আলী মোল্যার সঙ্গে তার ভাগ্নি আছমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী মহব্বত আলী আছমা খাতুনকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে পাঁচ মাস আগে সুদ করে তিন লাখ টাকা জোগাড় করে জামাইয়ের হাতে তুলে দেন আসমার বাবা। তাতেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি স্বামী মহব্বত আলীর। আরও টাকার জন্য নির্যাতন চালায় তারা। তিন মাস আগে নিহতের কোল জুড়ে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এই অবুঝ দুগ্ধপোষ্য শিশুটি যৌতুকের জন্য তার মাকে হারালো বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
আছমার ভাবী রিনা বেগম জানান, সব শেষ গেলো শুক্রবার মহব্বত আলীর স্বজনরা আছমা খাতুনের বাড়িতে মোবাইল ফোন করে তাদের মেয়ে (আছমা) অসুস্থ বলে জানায়। অসুস্থতার খবর পেয়ে আছমার মা ছায়রা খাতুন মেয়ের বাড়িতে ছুটে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মুত্যু হয়। এ ঘটনার দোষীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদিন জানান, ভুক্তভোগীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার রাতেই অভিযুক্ত নিহতের স্বামী মহব্বত আলী ও তার বাবা নুর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার পস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
জেবি
মন্তব্য করুন