সমকামিতার প্রস্তাব দেয়ায় যুবককে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ
চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারে গগন মার্কেটের দ্বিতীয়তলায় একজনকে ডেকে এনে নগ্ন ভিডিও ধারণ ও মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। এছাড়াও মারধর করে দশ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, এ ঘটনায় ১৯ বছর বয়সী রাশেদুল ইসলাম ও ১৬ বছর বয়সের নাঈম উদ্দিন নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে সায়েম খান নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন রাশেদুল ইসলাম পূর্ব পরিচিত হওয়ায় শুক্রবার রিয়াজউদ্দিন বাজারে দেখা করতে আসে। পরে আসামি রাশেদুল ইসলাম বাসায় নিয়ে কোনো কথা না বলেই নাঈমও রাশেদ মারধর ও নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। ইলেকট্রিক ট্রিমার মেশিন দিয়ে মাথার চুল কেটে দেওয়া এবং পরে নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে দশ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
পুলিশ আরও জানান, রাশেদুল দাবি করেছে সায়েম খান বিভিন্ন সময়ে রাশেদুলের মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও পাঠাতো এবং সমকামিতার প্রস্তাব দিতো। তাই ক্ষোভ থেকে সায়েম খানকে রাশেদুল ডেকে এনে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এই কাজ করেছে।
মামলার এজাহারে সায়েম খান উল্লেখ করেছেন, মো. রাশেদুল ইসলাম (১৯) এর সাথে বায়েজীদ থানাধীন কুলগাঁও আহসানুল উলুম জামিয়া গাউসিয়া কামিল মাদরাসায় পড়ালেখা করার সময় পরিচয় হয়। সেই সুবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে আসামি মো. রাশেদুল ইসলাম আমাকে রিয়াজউদ্দিন বাজার তার সাথে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিল নিয়মিতভাবে। তার কথায় রাজি হয়ে তার সাথে দেখা করার জন্যে রিয়াজউদ্দিন বাজার গিয়ে দেখা করি।
এজাহারে আরও উল্লেখ আছে, রাশেদুল ইসলাম তার বাসায় নিয়ে কোনো কথাবার্তা না বলে সায়েম খানের ওপর চড়াও হয় এবং কোমড়ের বেল্ট দিয়ে মাথায় এবং গায়ে আঘাত করে। এছাড়া হাতে স্টিলের রড দিয়ে আঘাত করার পর উলঙ্গ করে ফেলে। এর মধ্যে আসামি নাঈম ওই কক্ষে এসে আমাকে উলঙ্গভাবে দেখতে পায়। পরে নাঈম ও রাশেদ গালি দিতে থাকে এবং রাশেদ আমার নগ্ন অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে।
এদিকে শনিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে মামলার পর অভিযান চালিয়ে রাতেই পুলিশ রাশেদুলসহ তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদুল জানিয়েছে সায়েম খান প্রায়ই তাকে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে সমকামিতার প্রস্তাব দিতো। এতে সে অতিষ্ঠ হয়ে যায়। তারই জন্যই সে সায়েম খানকে ডেকে আনে। এরপর মারধর করে টাকা আদায় করে এবং আত্মীয় স্বজন থেকে মুক্তিপণ আদায় করে।
জিএম/জিএ
মন্তব্য করুন