অ্যাসাইনমেন্ট দেখাতে এলেন ছাত্রী, শয়নকক্ষে নিয়ে গেলেন মাদরাসা সুপার
খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়ে মাদরাসা সুপারের ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক ছাত্রী। পুলিশ অভিযুক্ত মাদরাসা সুপারকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ বুধবার এ ঘটনায় ভিকটিমের নানী বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত মাদরাসা সুপারের নাম মো. হাবিবুর রহমান (৫৫)। তিনি পাইকগাছা উপজেলার লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার এবং কয়রা উপজেলার খিরোল গ্রামের মৃত আবদুল হাকিম সরদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান পাইকগাছা উপজেলার লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার হিসেবে প্রায় দেড় বছর ধরে চাকরি করেন।
আরও পড়ুন...
স্বামী বিদেশ, রাতের আঁধারে এসে ধরা খেলো প্রেমিক
প্রেমিকের বউ হতে ৩ সন্তানকে বিষ খাওয়ালেন মা!
গেলো সোমবার মাদরাসার পাশে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর বাড়িতে যায় হাবিবুর রহমান এবং তাকে অ্যাসাইনমেন্ট আনার কথা বলে চলে আসে। পরে সেদিনই মেয়েটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে মাদরাসায় গেলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হাবিবুর তাকে নিজের শয়নকক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরলে মেয়ের নানী এলাকাবাসীর সহায়তায় থানায় বিষয়টি জানায়। এরপর পাইকগাছা থানার ওসির নির্দেশে মাদরাসা সুপার হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের নানী বাদী হয়ে বুধবার পাইকগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে অভিযুক্ত মাদরাসা সুপার বলেন, কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে সুপারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন