খালুর ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ভাগ্নি
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আপন খালুর বিরুদ্ধে। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে গফরগাঁও উপজেলার আউট বাড়িয়া গ্রামে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় পুলিশ অভিযুক্ত আব্দুল মতিন ভূঁইয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছেন।
অভিযুক্ত আব্দুল মতিন ভূঁইয়া ত্রিশাল উপজেলার কুষ্টিয়া (সেনবাড়ি) গ্রামের মৃত আব্দুল ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি আউট বাড়িয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।
মামলার এজাহার সূত্র থেকে জানা যায়, আব্দুল মতিন ভূঁইয়া আত্মীয়তার সুবাদে মাঝে মধ্যে ওই ছাত্রীর বাড়িতে বেড়াতে আসতেন।
গত ৩০ অক্টোবর বেড়াতে এসে ভায়রার মেয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এর পরে এ ঘটনাটি কাউকে বললে ক্ষতি হবে বলে মেয়েটিকে হুমকি দেন। সে কারণে ভয়ে মেয়েটি কাউকে কিছু না জানালে ও এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তখন জানতে পারেন সে দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে তাকে পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে খালুর কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানান।
আরও পড়ুন...
শারীরিক সম্পর্কের জন্য ডেকে এনে দেবরকে খুন
শারীরিক সম্পর্কের পর বিয়েতে অস্বীকার, ৯ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে শিক্ষিকা
স্বামীর আদেশে প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন ধরে প্রেমিকা!
সোমবার (৭ডিসেম্বর) মেয়েটির বাবা গফরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ আব্দুল মতিন ভূঁইয়াকে শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
মেয়েটির বাবা বলেন, এ মানুষের বাচ্চা নয়। আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এরপর আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন।
জিএম/ এমকে
মন্তব্য করুন