আট বন্ধুর পালাক্রমে ধর্ষণে অজ্ঞান নারী, মায়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও এলাকায় এক গৃহবধূকে (২৩) আট বন্ধু মিলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গণধর্ষণের মূলহোতা সাখাওয়াতসহ আটজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলো, তরগাঁও এলাকার মোস্তুফা বেপারীর ছেলে রুমান বেপারী, মহসিন বেপারীর ছেলে জোবায়ের বেপারী, মফিজ উদ্দিন সরদারের ছেলে মোস্তারিদ সরদার, ইহসান বেপারীর ছেলে সাহাবুল হোসেন সাকিব, সফুর উদ্দিনের ছেলে মাসুম শেখ, সামসুল হকের ছেলে রাকিব হোসেন ও বাদল মোড়লের ছেলে মাহফুজুল। গ্রেপ্তারকৃতরা একে অপরের বন্ধু বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর মা বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর বাবার বাড়ি কাপাসিয়ার নবীপুর এলাকায়। গেলো পাঁচ বছর আগে পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর মনোহরদীর আহাম্মদপুর এলাকার এক প্রবাসীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গেলো বুধবার ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্ব পরিচিত চরখামের গ্রামের আইন উদ্দিনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে আনেন। পরে অন্য বন্ধুদের নিয়ে উপজেলার নরাইদ্দারটেক এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে আটজন মিলে ধর্ষণ করে। এতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। এরপর মোবাইল ফোনে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মায়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ আরটিভি নিউজকে বলেন, ‘ধর্ষণ শেষে গৃহবধূর মায়ের কাছে মোবাইল ফোনে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ধর্ষকরা। গৃহবধূর মা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার নারীকে উদ্ধার করে। পরে গৃহবধূর ভাষ্য অনুযায়ী আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গাজীপুর পুলিশের এএসপি (সার্কেল) আরটিভি নিউজকে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মারাত্মক। এর সঙ্গে জড়িত প্রায় সবাইকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন