মাকে পাশের রুমে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত কিশোরী
নেত্রকোনার মদন উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এই মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মামুন (২২), মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে হাবিবুর রহমান (৫০) ও সবুর মিয়া (৩৫) নামের তিনজনকে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মদন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের রুহুলী গ্রামের ধর্ষণকারী মামুন দীর্ঘদিন ধরে প্রেম-ভালোবাসার অভিনয় করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে বাদীর কিশোরী কন্যার সাথে। গেলো সোমবার মোবাইল ফোনে রাত তিনটার দিকে বিবাদী মামুন ভিকটিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিকটিমের রান্নাঘরে কৌশলে নিয়ে আসে। এ সময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে রান্নাঘরে গিয়ে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে মামুনকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকতে দেখতে পায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে মামুনকে আটক করে।
আরও পড়ুন:
কালিয়াকৈরে বিয়ের প্রলোভনে নারীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ
চেয়ারম্যানের সঙ্গে শারীরিক মিলনের ভিডিও নিয়ে থানায় হাজির নারী
প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর পর্ন সাইটে ভিডিও আপলোড করেছিলেন তিনি
মা-বাবাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে মেয়েকে ওঝার যে ‘চিকিৎসা’
নানাকে বিয়ে করতে নাতনির অনশন
তিনি গিয়েছিলেন পাত্রীর গোসলের ছবি তুলতে!
খবর পেয়ে মামুনের বাবা হাবিবুর রহমান এবং ভগ্নিপতি সবুর মিয়া ঘটনাস্থলে এসে বিবাহবন্ধনের আশ্বাস দিয়ে মামুনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মামুন ও তার পরিবার বিয়ের কথা অস্বীকৃতি জানালে ভিকটিমের পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়।
এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজনের নামে মামলা করেছেন ভিকটিমের বাবা। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জেবি
মন্তব্য করুন