চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বেশির ভাগ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর বিপরীতে এক বা একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী অংশ নেওয়ায় অর্ধেকের বেশি ভোটকেন্দ্র ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এসব কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে দুইজন করে বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।
আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচনের দিন যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানিয়েছেন।
এ নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থী এবং ৩৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৭২ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৭ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৩৫টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। তাদের মধ্যে নয় লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন পুরুষ এবং নয় লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন নারী ভোটার।
মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী হলেও মূলত লড়াই হবে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের মধ্যে। তবে মেয়র প্রার্থীদের চেয়েও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের বিরোধে সহিংসতার শঙ্কা বেশি রয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলোতে।
নির্বাচনী সহিংসতায় ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে দুজন নিহত হয়েছেন। ১৩ জানুয়ারি রাতে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরের সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হন একজন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন আরও কয়েকজন।
নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভোটের ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি কেন্দ্রকে তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ’কেন্দ্র হিসেবে শনাক্ত করেছেন। শতকরা হিসেবে পুলিশের এই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রের হার ৫৭ শতাংশ।
এফএ