ঢাকারোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ চৈত্র ১৪৩১

সাভারে একের পর এক নারী ইউপি সদস্য পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালাচ্ছেন

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ০৭:৫৮ পিএম


loading/img
ছবি সংগৃহীত

ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমের টানে স্বামীর ঘর ছাড়লেন দুইবারের নির্বাচিত নারী ইউপি সদস্য। তিনি সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত সংরক্ষিত নারী সদস্য। তার নাম সীমা আক্তার সুমি।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী আসনের সদস্য হামিদা আক্তার গুদি ও প্রিয়শী আক্তার পরকীয়া প্রেমের টানে ঘর ছাড়েন। এ নিয়ে এ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের তিনজন সদস্য পরকীয়া প্রেমের টানে স্বামী ও সন্তান ও সাজানো সংসার ছেড়ে অন্যের সঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধেন।

আরও পড়ুন : রাজধানীতে ৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে!

এলাকাবাসী ও তার পরিবার জানায়, সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চকিদার মো. আনোয়ার হোসেন ১৮ বছর আগে সীমা আক্তার সুমি নামে এক পোশাক শ্রমিককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর ওই নারী পোশাক শ্রমিক ২০১১ সালে প্রথম ও ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বার সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য জনপ্রতিনিধির পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে চাকরিচ্যুত হন আনোয়ার। পরে তিনি সুয়াপুর বাজারের ব্রিজ পয়েন্ট চায়ের দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেন।

এ সুযোগে আনোয়ারের স্ত্রী সোমা আক্তার সুমি সাটুরিয়া থানার নয়াডিঙ্গি এলাকার বিদেশফেরত রাশেদ নামে এক যুবকের সঙ্গে নতুন করে পরকীয়া প্রেমে জড়ান। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্ত্রীকে শাসন করেন তার স্বামী। এরই জের ধরে ওই নারী ইউপি সদস্য গেলো সোমবার রাতে ওই পরকীয়া প্রেমিক রাশেদের হাত ধরে তিন সন্তান ফেলে রেখে স্বামীর ঘর ছাড়েন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন : প্রেমের বিয়ের পরদিনই লাশ হলো কলেজছাত্রী

গতকাল মঙ্গলবার সকালে লোকমারফত স্বামীকে তালাকের নোটিশ পৌঁছে দিয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী চকিদার মো. আনোয়ার হোসেন।

এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি রাস্তা থেকে নিয়ে একজন পোশাক শ্রমিককে বিয়ে করি। এরপর তাকে সংরক্ষিত নারী আসনে দুইবার মেম্বার বানাই। অথচ সে বারবার বিভিন্নজনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শাসন করায় অবশেষে তিন সন্তান ফেলে রেখেই সে পরকীয়া প্রেমিক রাশেদের সঙ্গে ঘর ছাড়লো। আবার আমাকে তালাক প্রদানের নোটিশ পৌঁছে দিয়েছে। এর চেয়ে দুঃখ আর লজ্জার আর কি হতে পারে।

এ বিষয়ে সংরক্ষিত নারী সদস্য সোমা আক্তার সুমি বলেন, জনসেবা করি, মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু একটা আছে; আমার তাও নেই। আমার পূর্বের স্বামী আমার স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নিয়েছিলো। কথায় কথায় আমাকে নির্যাতন করতো। একজন স্বনামধন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়েও আমাকে দোষারোপ করত। কাজেই এবার বিদেশফেরত রাশেদের সঙ্গে ইচ্ছা করেই পরকীয়ায় জড়াই এবং স্বামীর ঘর ছাড়তে বাধ্য হই।  আমি তাকে তালাকের নোটিশ পৌঁছে দিয়েছি। এখন আমি সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন হতে পেরেছি।

আরও পড়ুন : খদ্দের আসলেই আমাদের জোর করে কাজে বাধ্য করতো নাজমা বাড়িওয়ালী

জেবি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |