পটুয়াখালীর গলাচিপায় পুলিশের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয় ও মাথা ফাটিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ওই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের তিনজন সদস্য হামলার শিকার হন। এ সময় আসামির পরিবারের সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে আসামি কাশেম বেপারীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের বড়শিবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গলাচিপা থানার এএসআই মো. সুমন হাওলাদার বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ২২।
মামলায় কাশেম বেপারী (৪৫) ও বশির বেপারীর স্ত্রী মোছা. হাসিনা বেগম (৩৫) সহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮ থেকে ৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রাতে অন্যতম আসামি হাসিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, ভোলার চরফ্যাশনের একটি জিআর-২৫৬-৯৯ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামি কাশেম বেপারী গলাচিপার চরকাজল ইউনিয়নের বড়শিবা গ্রামে অবস্থান করছে। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে কাশেম বেপারীকে গ্রেপ্তার করেন।
এসময় কাশেমের বাড়ির নারী ও পুরুষ চিৎকার দিয়ে সকলে একত্রিত হয়। পুলিশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাসিনা বেগম মরিচের গুড়া দিয়ে এএসআই সুমনসহ অন্যান্য সদস্যদের চোখে ছিটিয়ে দেয়। এসময় ১০ থেকে ১২জন মিলে পুলিশ সদস্যদের এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। মরিচের গুড়া ছিটিয়ে রক্ষা না পাওয়ায় প্রধান আসামি কাশেম বেপারী সুপারি কাটার ‘ছরতা’ দিয়ে এএসআই সুমনের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুত্বর আহত এএসআই সুমন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে। পলাতক প্রধান আসামি কাশেম বেপারীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
জিএম/এফএ