নির্বাচনে হেরে স্ত্রীকে তালাক দিলেন যুবদল নেতা
নির্বাচনের ভোটে হেরে যাওয়ার পরদিন স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন যশোরের কেশবপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল হাসান আইদ।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্ত্রী জামিলা পারভীন তাকে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করায় তালাক দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সোহেল হাসান। অন্যদিকে তিনি সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছেন। তবে এর আগেও স্ত্রীর সাথে বিয়েবিচ্ছেদ হয়েছিল যুবদলের এই নেতার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ বছর প্রেমের পর জামিলা পারভীনকে বিয়ে করেন সোহেল হাসান। ২৬ বছরের দাম্পত্য জীবনের তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
আদালতে করা ওই মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ সালে পারভীনকে বিয়ে করার পর সোহেল হাসান ৪ বছর মালয়েশিয়ায় ছিলেন। সেই সময় জানতে পারেন স্ত্রী এক যুবকের সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পড়েছে। দেশে ফিরে আসার পর পারভীন সব অস্বীকার করেন।
এরপর তাদের পুত্র অংশু (২২) জন্ম নেয়ার পর পারভীন রিপন নামের সেই যুবকের সাথে চলে যান। ওই ঘটনার উল্লেখ করে সোহেল হাসান ২০১০ সালের ৯ অক্টোবর কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। জিডি নম্বর- ৩৯৩। পরে একই বছরের ২৭ অক্টোবর সোহেল হাসানকে তালাক দেন পারভীন।
২০১১ সালে রিপনকে ছেড়ে আবার সাবেক স্বামী সোহেল হাসানকে বিয়ে করার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ধর্না দেন পারভীন। পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে পারভীনকে ওই বছরের ৩০ জানুয়ারি ফের বিয়ে করেন তিনি। সোহেল হাসানকে দ্বিতীয় বার বিয়ের পর তাদের সংসারে কন্যা অহনা (৯)জন্ম নেয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে সোহেল হাসান কাউন্সিলর প্রার্থী হলে এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের সাথে পারভীন যোগাযোগ করেন। তার স্বামী সোহেল হাসানকে হত্যার জন্য ১০ লাখ টাকার চুক্তি করেন। নির্বাচনী প্রচার চলাকালে সোহেল হাসানের ওপর হামলাও হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে জামিলা পারভীন বলেন, আমার ছেলে অংশু (২২) ছাত্রলীগ করে। পৌর নির্বাচনে এক নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হয় সোহেল হাসান। নির্বাচনে সে পরাজিত হন। এ জন্য সে আমাকে দায়ী করে। তিনি আরও বলেন, সে আমাকে তালাক দিয়েছে বলে শুনেছি। আদালতে মামলাও করেছে। তবে কোনো কাগজপত্র পাইনি।
এ বিষয়ে সোহেল হাসান বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আমি পারভীনকে তালাক দিয়েছি। আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করায় তার বিরুদ্ধ আদালতে মামলাও করেছি।
জিএম
মন্তব্য করুন