সিলেটের ওসমানীনগরে নিজ ঘর থেকে স্কুল শিক্ষিকার গলাকাটা এবং গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন স্কুল শিক্ষিকা তপতী রানী দে ও তার বাসার কাজের সহযোগী গৌরাঙ্গ বৈদ্য।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তপতী রানী দে ওসমানীনগরে দয়ামীর ইউনিয়নের সোয়াইরগাওর এলাকার বাসিন্দা। তিনি সোয়াইরগাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। শনিবার (১৯ জুন) রাত ১২টার দিকে বাথরুমের জানালা দিয়ে প্রতিবেশিরা গৃহকর্মী গৌরাঙ্গ বৈদ্যের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তারা।
খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে ওসমানীনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা বাসার বাথরুমের জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে মেঝেতে তপতী রানী দের গলাকাটা মরদেহ ও পাশে গৌরাঙ্গ বৈদ্যর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তপতী রানী দের স্বামী ও ছেলেমেয়ে চিকিৎসক। স্বামী ও ছেলের সঙ্গে তিনি সোয়াইরগাঁও গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার সময় তপতী রানীর ছেলে চেম্বারে রোগী দেখছিলেন। এ সময় বাসায় কেবল তপতি ও গৌরাঙ্গ ছিলেন। সন্ধ্যার পর কোনো একসময়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমআই
