সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে ১৪ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনের করোনা পজিটিভ বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আরও মারা গেছেন আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের আব্দুল হামিদ (৭৫), তালা উপজেলার সেনেরগাতি গ্রামের রহিমা বেগম (৬০), যশোরের শার্শা উপজেলার বাঘারপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলী (৬২), পলাশপোল এলাকার শেখ কাদিরুল (৭৫) ও সদর উপজেলার ভাড়ুখালি এলাকার কওসার আলী (৫২)।
বুধবার (৩০ জুন) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সুফুরা বেগম (৬০), কুকরালী এলাকার নাজমা বেগম (৫০) পলাশপোল এলাকার আনছার আলী (৭৫), সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার খায়রুননেছা (৪০), শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর গ্রামের আশরাফ হোসেন (৪৭), কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা গ্রামের আকরাম হোসেন (৬৬),
দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের তুহিন (৪৫), আশাশুনি উপজেলার রবিউল ইসলাম (৪৮) ও পাটকেলঘাটা থানার বড়বিলা গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪০)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. মানস কুমার মন্ডল বলেন, বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছিল। তবে রাত ৮টার পর থেকে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। যশোর থেকে অক্সিজেনের কোম্পানির গাড়ি আসতে দেরি করে। এই সময়ের মধ্যে আইসিইউতে ৩ জন রোগী মারা যান।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডের মধ্যে অক্সিজেনের ব্যবহার কম থাকে। যেখানে সিলিন্ডারের অক্সিজেনও দেয়া হয়। সেই কারণে ওয়ার্ডে মারা যাওয়া রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে এটি বলা যাবে না। যারা আইসিইউ ও ওয়ার্ডে মারা গেছেন তাদের সকলের অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪ জন ও উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন থাকা ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জিএম